ন্যাভিগেশন মেনু

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি : ওবায়দুল কাদের


এদেশের ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে তাঁর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত এদেশে কারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, কারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, সেটা নতুন করে বলার বিষয় নয়। এদেশের ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক এবং নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়, অন্যদিকে বিএনপি চায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে সাথে নিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে। তিনি বলেন,এখন আর এসবে কেউ কান দেয় নাবি । বিএনপির স্বার্থান্বেষী  ও  ক্ষমতার রাজনীতি নতুন প্রজন্মের কাছেও  স্পষ্ট।   

বিএনপি ক্ষমতায় যেতে এবং ক্ষমতা অবৈধভাবে ধরে রাখতে সাম্প্রদায়িক শক্তির ওপর নির্ভর করে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালেও বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে আতাত করে। সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র বানায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। ক্ষমতায় যেতে বিএনপিই ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।  

দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ বিএনপির আমলেই সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৬৩ টি জেলায় একইসাথে বোমা হামলা হয়েছিল বিএনপির শাসনামলে,  শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাইরা যে উগ্রপন্থার জন্ম দিয়েছিল তার প্রশ্রয়দাতা আর আশ্রয়দাতা ছিল বিএনপি।

ক্ষমতায় যেতে আওয়ামী লীগের কোন ষড়যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না, আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, আর এখন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন পূরণে অবিরাম লড়ে যাচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনীতি করে বলেই জনগণ আওয়ামী লীগের প্রাণ শক্তি, অপরদিকে যারা ক্ষমতাকে নিজের ভাগ্য বদলের চাবি মনে করে এবং দেশে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে,ষড়যন্ত্র, হত্যা ও সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতি করে তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন, নিজেদের মধ্যে সংঘাত- সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন তাদেরকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিরোধী তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।  

তিনি বলেন, অন্যথায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদদদাতা, উস্কানিদাতা নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার সম্মুখীন হবেন।

শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রধানের নির্দেশে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপকর্ম করলে কেউ রেহাই পাবে না- শাস্তি তাদের  পেতেই হবে। ছলে- বলে কৌশলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হলে শৃঙ্খলা বিরোধী অপকর্ম বলে গণ্য করা হবে।