ন্যাভিগেশন মেনু

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত | ফজিলত, বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ


সূরা হাশর পবিত্র কুরআন মাজিদের ৫৯ তম সূরা, এর মোট আয়াত সংখ্যা ২৪ টি। সূরা হাশর মক্কায় অবতীর্ন হয় বলে একে মাক্কী সুরাও বলা হয়।  পবিত্র কুরআন মাজিদ পুরোটাই মানবজাতির জন্য আল্লাহর রহমত। তারপরেও বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সূরা বা আয়াতের ভিন্ন ভিন্ন ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত আছে।  অনুরূপভাবে সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত সম্পর্কেও হাদিসে নানা রকমের ফজিলতের কথা বর্ণিত আছে। 

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত এর ফজিলত

মাকাল বিন ইয়াসার (রা,) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিন বার “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম” পড়বে। এরপর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তিলাওয়াত করবে। আল্লাহ তাআলা উক্ত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন; যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩০৯০; আবু দাউদ, হাদিস : ২৯২২; মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ১৯৭৯৫; কানজুল উম্মাল, হাদিস : ৩৫৯৭)

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত ( বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ) 


هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ (22) هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ (23) هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ [الحشر:22-24]

উচ্চারণ : হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাদি, হুয়ার রাহমানুর রাহিম। হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুবহানাল্লাহি আম্মা য়ুশরিকুন। হুআল্লাহুল খালিকুল বা-রিউল মুছাওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউছাব্বিহু লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্; ওয়া হুয়াল আজিজুল হাকিম।

অর্থ : ‘তিনিই আল্লাহ তাআলা, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন, তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা।’ (২২) ‘তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তা' আলা তা থেকে পবিত্র।’ (২৩) ‘তিনিই আল্লাহ তাআলা, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামগুলো তারই। নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তার পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়। (সুরা হাশর, আয়াত : ২৪)

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মাকাল বিন ইয়াসার (রা,) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিন বার “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম” পড়বে। এরপর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তিলাওয়াত করবে। আল্লাহ তাআলা উক্ত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন; যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩০৯০; আবু দাউদ, হাদিস : ২৯২২; মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ১৯৭৯৫; কানজুল উম্মাল, হাদিস : ৩৫৯৭)

আশা করি উপরিউক্ত আলোচনা থেকে সূরা হাশর এর শেষ তিন আয়াত এর ফজিলত সম্পর্কে আপনি পরিষ্কর ধারণা লাভ করেছেন। এছাড়াও সূরা শশুরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থ সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সকাল বিকাল সূরা হাশর পথ করে এর ফজিলত লাভের তৌফিক দেন করুক।  আমিন।


আরো পড়ুন : 

কবর জিয়ারতের দোয়া - সঠিক-শুদ্ধ-সুন্নাতি পদ্ধতি

দোয়া ইউনুস কি? কেন এবং এর ফজিলত কি ?