ন্যাভিগেশন মেনু

১৬ জন পেলেন চসিকের একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার


দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ১৬ জন৷ 

শুক্রবার সিআরবি শিরীষতলায় অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে একুশে স্মারক সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী (মরণোত্তর)। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে নিহত হন। তিনি প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান। শিল্প উন্নয়ন ও সমাজসেবায় মো. নাছির উদ্দিন (মরণোত্তর)। তিনি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের কোম্পানি প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। চিকিৎসায় ডা. মো গোফরানুল হক। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন৷ নাট্যকলায় বিটার নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্ত।

শিক্ষায় বিজিএমইএর ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী। সাংবাদিকতায় জসীম চৌধুরী সবুজ, সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশ ও মানোন্নয়নে দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের সম্পাদক রুশো মাহমুদ। সঙ্গীতে শ্রেয়সী রায়, ক্রীড়ায় জাকির হোসেন লুলু, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে শৈবাল চৌধুরী।

সাহিত্য সম্মাননা পেয়েছেন  প্রবন্ধে (গবেষণা)-শামসুল আরেফীন ও ড. শামসুদ্দীন শিশির। কবিতায় আবসার হাবীব ও ডা. ভাগ্যধন বড়ুয়া। শিশুসাহিত্যে অরুণ শীল ও শিবুকান্তি দাশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, বইমেলা মঞ্চ আজকে উনাদেরকে সম্মানিত করার মাধ্যমে আমরা সম্মানিত হয়েছি৷ এভাবে গুণীজনদের সম্মাননা না জানালে জাতিতে গুণীজনদের জন্ম হবেনা৷ 

“বাংলাদেশে একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার৷ যে জাগরণের জোয়ারে মৌলবাদ,  জঙ্গীবাদ ভেসে যাবে৷ আমাদের নতুন প্রজন্ম সত্যিকার অর্থে মানুষ হবে,  বাঙালি হবে৷ আমরা চাই দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষ যাতে জড়বস্তুতে পরিণত না হয়, মনুষ্যত্ব হারিয়ে না যায়, বোধ হারিয়ে না যায়। আমরা মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে চাই৷ সেজন্য সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে৷”

সবার সহযোগিতা পেলে চসিকের অমর একুশে বইমেলাকে আন্তর্জাতিক বইমেলায় পরিণত করার ঘোষণা দিয়ে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিকের অমর একুশে বইমেলাকে আমি আন্তর্জাতিক বইমেলায় পরিণত করতে চাই৷ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রকাশনা ও বিখ্যাত লেখকদের মিলনমেলায় পরিণত করতে আয়োজন করতে চাই চট্টগ্রাম বইমেলার। চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে শিশুপার্ক করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা চান মেয়র৷ 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অমর একুশে বইমেলার আহ্বায়ক ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু৷ সম্মাননাপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করেন শিশির দত্ত এবং আবসার হাবীব। অনুষ্ঠানে উপস্তিত ছিলেন কাউন্সিলর শহীদুল আলম,  নাজমুল হক ডিউক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, গোলাম মো. জুবায়ের, শাহেদ ইকবাল বাবু,  আবুল হাসনাত মো. বেলাল, শাহীন আকতার রোজী, প্রধান  বইমেলার সদস্য সচিব আবুল হাশেমসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ৷ 

আগামীকাল বইমেলা মঞ্চে লেখক সম্মিলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন৷ প্রধান আলোচক থাকবেন কবি, লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক আনিসুল হক৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন লেখক অভীক ওসমান