ন্যাভিগেশন মেনু

৭ বছর পর কলকাতা গেল ৩০.৫৬০ টন ইলিশের প্রথম চালান


 জামাল হোসেন, বেনাপোল

শারদীয় দূর্গাপুজোর বাংলাদেশের শুভেচ্ছা হিসেবে সোমবার রাতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান রফতানি হয়েছে কলকাতায় ।

৮টি ট্রাকে করে ৩০.৫৬০ টন ইলিশের চালান বেনাপোল বন্দরে এসে পৌছালে কাস্টমস কর্মকর্তারা দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা শেষে করে রফতানির অনুমতি প্রদান করেন।

পর্যায়ক্রমে ১০ অক্টোবরের মধ্যে বাকী ইলিশ ভারতে যাবে। রবিবার প্রথম চালানের ইলিশ মাছ ভারতে রফতানির কথা থাকলেও কাগজপত্র ও মাছের ট্রাক না আসায় রফতানি হয়নি।

ভারতে মাছ রপ্তানির জন্য সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বেনাপোল কাস্টম হাউজে ৩টি বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন। যার নম্বর সি-৬৩৮০৮, সি-৬৩৮০৯ ও সি-৬৩৮৪৭।

প্রতিকেজি ইলিশের মুল্য ধরা হয়েছে ৬ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫০৭ টাকা। বাংলাদেশের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান একোয়াটিক রিসোর্স লি: ঢাকা ও ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্টান নাজ ইমপেক্স ইন্ডিয়া প্রা: লি: কলকাতা।  বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন জানান, ৭ বছর পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাকে শুভেচ্ছা হিসেবে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দেয় সরকার।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজের মালিক মহিতুল হক জানান, বেনাপোল দিয়ে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হবে। সোমবার প্রথম চালানের (৩০.৫৬০ মেট্রিক টনের) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টম হাউজে দাখিল করা হয়েছে।

আনুসাঙ্গিক কাজ কর্ম সেরে রাতের দিকে ইলিশের চালান ভারতে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতায় ইলিশ নিয়ে যাবেন। পরে সেখানকার বাজারে তা বিক্রি করবেন।

মূলত কলকাতার বাজারেই এই ইলিশ বিক্রি হবে। ২০১২ সালের পর থেকে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। এর পর থেকে বৈধভাবে বাংলাদেশের ইলিশ আর কলকাতায় যায়নি।

ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টম থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কলকাতায় ইলিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এবার বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে শুভেচ্ছা হিসেবে। প্রথম চালান সোমবার রাতে ভারতে গেছে। 

বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড়পত্র দেয় ২২ সেপ্টেম্বর। এই ইলিশ কয়েক ধাপে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছাবে পশ্চিমবঙ্গে। বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ইলিশ যাচ্ছে কলকাতায়।

এরপর এই ইলিশ চলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। এ বছর পশ্চিমবঙ্গে তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি। গত বছর যে ইলিশ ২০০ রুপি কেজিতে বিক্রি হয়েছিল, এবার সেই ইলিশ ৫০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারি কমিশনার উত্তম চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার রাতে দিকে প্রথম চালানের ৩০.৫৬০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। কাস্টম হাউজে কাগজপত্র দাখিল করার সাথে সাথে দ্রুততার সাথে ইলিশ মাছের চালানটি ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিস্তারিত জানতেঃ  https://www.ajkerbangladeshpost.com 

এস এস