ন্যাভিগেশন মেনু

উপজেলা চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে ইউএনও কীভাবে সভাপতি হন : হাইকোর্ট


নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা (ইউএনও) কীভাবে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি হন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল।

আদালতে এদিন রিটকারী সংগঠন বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসাম এমএস আজিম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল।

অপর এক রুলে উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও আর্থিক শৃঙ্খলা আনয়নসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) সাচিবিক দায়িত্বপালনের বিধান সম্বলিত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে তাও জানতে চাওয়া হয়।

এছাড়া, বিভিন্ন আমন্ত্রণপত্রে উপজেলা পরিষদ না লিখে উপজেলা প্রশাসন লেখার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন কমিটিতে ইউএনওকে সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করা সংক্রান্ত পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী হাসান এম এস আজিম বলেন, উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা সাংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের হয়েছিল। আদালত শুনানিতে নিয়ে এ রুল জারি করেছেন।

রুলে উপজেলার অধীন ১৭টি বিভাগের অধিকাংশ কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করার পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এসব বিভাগের প্রশাসনিক ও আর্থিক শৃঙ্খলা চেয়ারম্যানের অনুমোদনবিহীন সম্পাদন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ ও ২০১১ (সংশোধিত) অনুযায়ী হস্তান্তরিত বিভাগসমূহের অনুমোদন ও জবাবদিহিবিহীন কার্যসম্পাদন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তাও জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত।

বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি, পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ হাওলাদার, নরসিংদির মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বীরু, গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিনা পারভীন, কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ এবং চট্টগ্রাম উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তারসহ পাঁচ জন ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রিটটি দায়ের করেন।

রিটে উপজেলা পরিষদকে কার্যকর ও গতিশীল করতে এবং পরিষদের ওপর মাঠ প্রশাসনের বিশেষ করে ইউএনও-দের একক কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জ করা হয়।

ওআ/