ন্যাভিগেশন মেনু

কণ্ঠসৈনিক আবদুল জব্বারের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ


স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এক নির্ভিক কণ্ঠসৈনিক আব্দুল জব্বার। কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন তিনি অগণিত শ্রোতা, সঙ্গীতাঙ্গনে রেখেছেন বিশেষ অবদান। তিনি পেয়েছেন মানুষের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।

আজ সেই প্রয়াত কিংবদন্তির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। সঙ্গীতের লালনক্ষেত্র কুষ্টিয়ায় ১৯৩৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল জব্বার।

ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ঝোঁক ছিল আব্দুল জব্বারের। সঙ্গীতের তালিম গ্রহণ করেন ওস্তাদ ওসমান গনি এবং ওস্তাদ লুৎফুল হকের কাছে। ১৯৫৮ সাল থেকে তৎকালীন পাকিস্তান বেতারে তালিকাভুক্ত হন আব্দুল জব্বার। ১৯৬২ সালে তিনি প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান করেন। ১৯৬৪ সাল থেকে বিটিভির নিয়মিত গায়ক হিসেবে পরিচিতি পান।

তিনি ছিলেন একাত্তরের একজন কণ্ঠযোদ্ধা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে প্রচারিত ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’সহ অনেক উদ্বুদ্ধকরণ গানের গায়ক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন আব্দুল জব্বার।

তৎকালীন সময়ে কলকাতাতে অবস্থিত বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ঘুরে হারমোনি বাজিয়ে গণসঙ্গীত পরিবেশন করেছেন আব্দুল জব্বার। যা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল। সে সময় ভারতের বিভিন্ন স্থানে গণসঙ্গীত গেয়ে প্রাপ্ত ১২ লাখ রুপি তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করেছিলেন।

দেশ স্বাধীনের পর তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে নিয়মিত গান গাইতে শুরু করেন। সিনেমায় তার বহু কালজয়ী গান রয়েছে। সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক, ১৯৮০ সালে একুশে পদক, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদক, ২০১১ সালে আজীবন সম্মাননা এবং জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

২০১৭ সালের জুলাই থেকে তিনি কিডনি, হার্ট, প্রস্টেটসহ বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১ আগস্ট তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ওআ/