ন্যাভিগেশন মেনু

করোনায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজেই পক্ষকালে ১২৩ জনের মৃত্যু


কোভিড-১৯ এর হানার শীর্ষে নাম উঠে এলো দেশের উত্তরের জেলা রাজশাহী রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল।

বুধবার (৯ জুন) অবধি মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজারের কাছাকাছি অর্থাৎ ১২ হাজার ৯৪৯ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ১৭ হাজার ৮১৯ জন।

গত ২৪ মে থেকে ৯ জুন অবধি করোনাপ্রবণ রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। গতকাল বুধবার মারা গিয়েছেন ১২ জন। রাজশাহী মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে তাদের মৃত্যু হয়। অতিমারি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে তারা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ( রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান তারা। মৃতদের মধ্যে নয়জন রাজশাহীর বাসিন্দা। অন্য তিনজনের বাড়ি ভারত সীমান্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১২ জন মারা গেছেন।

এর মধ্যে সাতজন মারা গেছেন করোনায়। অন্য পাঁচজন মারা গেছেন করোনা উপসর্গ নিয়ে। করোনায় মারা যাওয়া ৭ জনের ৫ জন রাজশাহী জেলার বাসিন্দা। অন্য দু’জন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

উপ-পরিচালক আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৭১ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন ২৯০ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৮ জন। রাজশাহীর ১৪২ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১১ জন, নওগাঁর ১৫ জন, নাটোরের ১৫ জন, পাবনার ৩ জন, কুষ্টিয়ার ৩ জন এবং চুয়াডাঙ্গার ১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৬ জন, নওগাঁর ৭ জন ও নাটোরের একজন। এই একদিনে হাসাপাতল ছেড়েছেন ২৫ জন।

 এদিকে গত ২৪ মে থেকে হাসপাতালটিতে করোনা আক্রান্ত মৃত্যুর হার সবার নজরে আসে। ২৪ জুন মারা যান ১০ জন। এরপর থেকে  ২৫ মে ৪ জন, ২৬ মে ৪ জন, ২৭ মে ৪ জন, ২৮ মে ৯ জন, ৩০ মে সর্বোচ্চ ১২ জন, ৩১ মে ৪ জন মারা যান। এরপর থেকে ১ জুন ৭ জন, ২ জুন ৭ জন, ৩ জুন ৯ জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন ৮ জন, ৬ জুন ৬ জন, ৭ জুন ৭ জন, ৮ মে ৮ জন ও ৯ জুন ৮ জন রামেক হাসপাতালে মারা গিয়েছেন।

৪১ জনের পরীক্ষায় ৩২ শনাক্ত: এদিকে বসিরহাট সীমান্ত সংলগ্ন জেলা সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় (থানা) করোনা সংক্রমণের হার আরও ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় এই থানাতে ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। শনাক্তের হার ৭৮ শতাংশেরও বেশি।

শনাক্তদের মধ্যে চার বছর বয়সী শিশু থেকে শুরু করে তরুণ, যুবক, মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধসহ সকলই রয়েছেন। আজ বুধবার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এস এস