ন্যাভিগেশন মেনু

কী কাণ্ড! বিয়ের আসরে জামাইবাবুকে বারবার চুমু শ্যালিকা’র


বরাবরই জামাইবাবুর সঙ্গে শ্যালিকার সম্পর্কই একটু অন্য ধাঁচের। মিষ্টি মধুর এই সম্পর্ক যেন সবকিছুর থেকে আলাদা। হাসিঠাট্টাই সম্পর্কের ইউএসপি। একটি ভাইরাল ভিডিওর সূত্র ধরে সেই সম্পর্কই এখন নেটদুনিয়ায় জোর চর্চার বিষয়।

ওই ভাইরাল ভিডিও অনুযায়ী বোঝাই যাচ্ছে বিয়ের আসর বসেছে। একটি চেয়ারে বর-কনে ছাড়াও দু’জন তরুণী বসে রয়েছেন। বরের পাশে যে তরুণী ছিলেন, তিনি কনের বোন। অর্থাৎ সম্পর্কে নতুন জামাইয়ের শ্যালিকা।

হাসি হাসি মুখ করে ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছিলেন সকলে। ক্যামেরাম্যানও ওই মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করতে প্রস্তুত। আচমকাই ঘটল বিপত্তি।

কারণ, নতুন জামাইবাবুকে হঠাৎ চুম্বন  করতে শুরু করলেন শ্যালিকা। জামাইবাবু তো অবাক। কীভাবে শ্যালিকার ‘চুম্বন হামলা’ থেকে নিজেকে মুক্ত করবেন, ঘটনার আকস্মিকতায় তা ঠিকমতো বুঝেও উঠতে পারেননি নতুন জামাই। তবে মুহূর্তের মধ্যেই শ্যালিকা তাঁকে মুক্তি দেয়। অবাক তরুণীর দিদিও।

বিয়ের আসরে সেই সময় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরাও যে অবাক হয়েছেন সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এদিকে, ডিজিটাল যুগে যে কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা মুঠোফোন বন্দি হবেই। সোশ্যাল মিডিয়াতেই এখন ব্যস্ত থাকেন বেশিরভাগ মানুষ।

তাই ব্যতিক্রমী ভিডিওটি আপলোড হওয়ার কথা ছিলই। হলও তাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হওয়ামাত্রই ভিডিওটি যেন শক্তিশালী সাইক্লোনের মতো ভাইরাল হতে থাকে। লাইক, কমেন্টের বন্যা। কেউ কেউ বেশ মজার ছলেই নিয়েছেন ভাইরাল ভিডিওটি। আবার কেউ কেউ জামাইবাবু-শ্যালিকার মধ্যে পরকীয়া সম্পর্কের কথা ভাবতে বসেছেন।

তাঁরা নতুন জামাইয়ের সঙ্গে শ্যালিকার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা খুঁজে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নীতি পুলিশেরও অভাব নেই। এই আচরণের জন্য অনেকেই আবার শ্যালিকার দিকে খড়গহস্ত।

কীভাবে এমন আচরণ করতে পারল, সেই প্রশ্নও তুলতে শুরু করেছেন কেউ কেউ। তবে এই ভিডিও নিয়ে নেটদুনিয়ায় যতই আলোচনা হোক না কেন শ্যালিকা কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন, তা এখনও জানা যায়নি।

এস এস