কুষ্টিয়া শহরের কাস্টম মোড়ে প্রকাশ্যে মা ও শিশুপুত্রসহ তিনজনকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার একমাত্র আসামি পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়।
সোমবার (১৪ জুন) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে বিকেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে হেলমেট পরিয়ে তাকে কারাগারে নেয় পুলিশ। তবে, পুলিশ সংবাদমাধ্যমের সাথে কোনো কথা বলেনি।
আদালতের পেশকার এম এ আলিম বলেন, জবানবন্দিতে সৌমেন রায় হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। স্ত্রীর অন্য পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কের জেরে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ নিয়ে সৌমেন দু:খ প্রকাশও করেন।
এদিকে কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পরকিয়া সম্পর্কের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন উল্লেখ করে আসামি জবানবন্দিতে খুনের কথা স্বীকার করেছেন।
এর আগে বেলা দেড়টায় কড়া পাহারায় পুলিশ তাকে কুষ্টিয়ার আদালতে নিয়ে আসে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মডেল থানার ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার বলেন, নিহত আসমার মা হাসিনা খাতুনের দায়ের করা মামলায় আদালতে আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণের আবেদন করেন।
এর আগে সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে জানাযা শেষে নিহত আসমা ও তার শিশু ছেলে রবিনকে নিজ বাড়ি কুমারখালী উপজেলার নাতুড়িয়া গ্রামে ও শাকিল খানকে চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা গ্রামে দাফন করা হয়েছে। এসময় সেখানে হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার পর গ্রেপ্তারকৃত পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়কে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও পুলিশ এই ঘটনা তদন্তে আলাদা দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
এর আগে, গতকাল রোববার (১৩ জুন) কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শহরের পিটিআই সড়কের মুখে আসমা, শাকিল ও রবিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সৌমেন।
ওআ/