ন্যাভিগেশন মেনু

সন্দ্বীপে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি

লুণ্ঠিত স্বর্ণ ও মোবাইল উদ্ধার, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পাঁচ ডাকাত গ্রেফতার


চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের শামসুল আলমের বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে গত ১৪ মার্চ দিবাগত রাতে। এ ঘটনায় ৫ জন ডাকাত ও ১ জন লুন্ঠিত মালের মজুতকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে লুণ্ঠিত ৯ ভরি ২ আনা স্বর্ণ, ২ টি মোবাইল ফোন, লুন্ঠিত মালামাল বিক্রির ৭ হাজার টাকা, ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ১ টি মোটরসাইকেল, ১ টি বাইসাইকেল এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- মগধরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নুরুল আবছার(৩৪),বাউরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মো. সোহেল(৩০),কালাপানিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মো.রুবেল(৩৩), মগধরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান (৫৩),উড়িরচর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মো. সিরাজ(৪১) ও মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দিলিপ চন্দ্র বনিক(৪৮)।

রবিবার সকাল ১১টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন।

পুলিশ জানায়, ডাকাতির ঘটনার পরপরই ধারাবাহিক অভিযানে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় নুরুল আফসার ও সোহেল রানাকে। সোহেল রানাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদপূর্বক চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থেকে ঘটনার মূল হোতা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য মো. রুবেল এবং ফিরিঙ্গিবাজার থেকে ডাকাত চক্রের অন্য দুই সদস্য মিজানুর রহমান( নিজাম) ও মো. সিরাজকে আটক করা হয়।

আটক রুবেল, সিরাজ ও মিজানকে জিজ্ঞসাবাদের ভিত্তিতে মুছাপুর ইউনিয়নের ধোপারহাটের দিপা জুয়েলার্সের স্বর্ণাকার চন্দ্র বণিকের দোকান থেকে লুন্ঠিত স্বর্ণের মধ্য থেকে ৯ ভরি ২ আনা ওজনের স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, 'তদন্ত করে ৬ জন ডাকাতের নাম পেয়েছি। ৫ জন ডাকাত ও লুন্ঠিত স্বর্ণের মজুতদার দিলিপ বনিককে গ্রেফতার করেছি। তদন্ত অব্যাহত আছে। বাকি আলামত উদ্ধারে আমরা তৎপর আছি।'