ন্যাভিগেশন মেনু

কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষে চেয়ারম্যানসহ আহত ৮


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর শহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের আহত চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন - চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, তার পক্ষের হোরণ, রাসেল, মো. রাব্বি, কালাম ও ফয়সালসহ ৮ জন। চেয়ারম্যান রাজ্জাক চরএলাহী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

স্থানীয় সূত্র জানায়,  ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক উপজেলার বসুরহাট পৌর শহরের ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরাসহ বসুরহাটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে যোগ দিচ্ছে যাচ্ছিল। পথে হাসপাতাল এলাকায় আসলে আগে পরে যাওয়া নিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহাব উদ্দিন ও গণির লোকজন চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের উপর হামলা করে।

সূত্র আরও জানায়, শাহাব উদ্দিন ও গণির লোকজন লোহার রডসহ লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালালে চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ডুকে পড়ে। হামলার এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান রাজ্জাকের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকেসহ তার আহতদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।

চেয়ারম্যান রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই তার মিছিলে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করলে তিনি পালিয়ে একটি ক্লিনিকে গিয়েও বাঁচতে পারেনি। সেখানে গিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তার ৮-১০জন লোক আহত হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরে আবদুল গণি চেয়ারম্যান রাজ্জাককে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা দেয়।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানকে তারা গ্রেপ্তার করেনি। লোকজন চেয়ারম্যানকে আটক করে থানায় দিয়ে যায়।

সিবি/এডিবি