ন্যাভিগেশন মেনু

টিকার আর কোনো অভাব হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমরা জোরেশোরে শুরুর পরও কাঙ্ক্ষিত টিকা না পাওয়ায় তা ধরে রাখতে পারিনি। আশা করছি টিকার আর কোনো অভাব হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাচ্ছি, আগামীতে আরো পাব। ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি টিকা আসবে, যা ৫ কোটি মানুষকে দেওয়া যাবে।’

শুক্রবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার ১২ লাখ ডোজ টিকা গ্রহণ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের টিকার সঙ্কটে দেশে গণ টিকাদান কর্মসূচিতে ছন্দপতনের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আজকে আমরা ১৩ লাখ টিকা গ্রহণ করলাম। আরো ১২ লাখ ডোজ টিকা সকালে এসে পৌঁছাবে। আশা করছি, বিভিন্ন উৎস থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি করোনার টিকা দেশে আসবে।’

বিমানবন্দরে টিকা গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম

প্রসঙ্গত, মার্কিন সরকার সম্প্রতি এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ২ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা বরাদ্দ করেছে। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উপহার দেয়া মর্ডানা ভ্যাকসিনের ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছেছে।

শনিবার (৩ জুলাই) ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছায় মর্ডানার এই দ্বিতীয় চালান। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের কাছ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকার এই চালান গ্রহন করেন।

চিন সরকারের কাছ থেকে কেনা সিনোফার্মের কোভিড টিকার মধ্যে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে দেশে এসে পৌঁছে ২০ লাখ ডোজ। এর ফলে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশ পেলো মডার্না ও সিনোফার্মের ৪৫ লাখ ডোজ টিকা।

এর আগে গত মে-জুনে উপহার হিসেবে চিন সরকারের দেয়া সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ১১ লাখ ডোজ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

এমআইআর/এডিবি/