ন্যাভিগেশন মেনু

ডিজিটাল আইনে মামলার পর ক্ষমা চাইলেন প্রাক্তন ভিপি নূর


ফেসবুক লাইভে শাসকদল আওয়ামী লীগকে নিয়ে বাজে মন্তব্যের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের –ডাকসু প্রাক্তন ভিপি নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে হয়েছে। হালে নানা কারণে বিতর্কিত নূর ওই মামলার পরেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন।

নূর ফেসবুকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। শাসকদলের যুবফ্রন্ট যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম সজীব বাদি হয়ে ঢাকার শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন।

তিনি বলেন, “ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করে ফেসবুকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা হয়েছে।

গত সপ্তাহে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সুরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নুরুল হক নূর বলেন, “কোনো মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না। যারা এই আওয়ামী লীগ করে তারা চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চিটার-বাটপার এই ধরনের মুসলমান।

শুক্রবার একদিন নামাজ পড়তে যাবে, আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কোন খবর নাই। হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের রিসোর্ট কাণ্ড সরকারের ‘চাল’ রয়েছে বলে দাবি করে নূর বলেন, “আওয়ামী লীগের উগ্রবাদীরা আলেম-ওলামাদের নিয়ে যেভাবে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, তাদের চরিত্র হরণ করছে, এরা মুসলমান হতে পারে না।

এদের কোনো ইমান নাই। মামলার এজহারে বলা হয়, ওই ফেসবুক ভিডিও অজ্ঞাতনামা অসংখ্য আইডি ও পেইজে শেয়ার করা হয়েছে, যার মধ্যে অনেকের সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কমেন্ট রয়েছে।

আশরাফুল ইসলাম সজীব বলেন, “একজন ধর্মপ্রাণ সচেতন মুসলিম এবং আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি মনে করছি, তার এই বক্তব্য আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। তাই আমি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। এর আগে নূরের বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমা চান।

এরপরেই নূর ফেসবুক লাইভে বলেন, আমার কথায় কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে, কষ্ট পেয়ে থাকেন- তাহলে আমি তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

আমি ক্ষমাপ্রার্থী, স্বাভাবিকভাবে আমার যদি ভুল হয় আমার জায়গা থেকে ১০০ বার ক্ষমাপ্রার্থী থাকবো। আমি বিনয়ের সঙ্গে সেটার জন্য ক্ষমা চাইবো। কারণ আমার ভুল হতেই পারে, আমি মানুষ ফেরেশতা না।

এস এস