ন্যাভিগেশন মেনু

ঢাকাবাসীকে চলতে হয় ধূলার মধ্যেই


বিষেভরা রাজধানী ঢাকা। তাই রাজধানীবাসীকে চলতে হয় ধূলার মধ্য দিয়েই। অনেক পুরানো যানবাহন চলে চলে রাজধানীতে। পুরনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ির কালো ধোঁয়া এ বিষযুক্ত বাতাসের প্রধান কারণ।

তদুপরি অনেক রাস্তা খোড়াখুঁড়ির কারণে ধূলার সৃষ্টি হয়। সেই ধূলার মধ্য দিয়েই চলতে হয়বিষে ভরা রাজধানীবাসীকে। এমন ধূলার নগরীতে চলাফেরা করাও দায়। রাজধানীর আশপাশ এলাকার ইট ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায়ও মারাত্মক দূষিত হচ্ছে বাতাস।

রাত যত গভীর হয় ঢাকার বাতাস তত বেশি দূষিত হয়। এতে বাড়ছে ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ। ঢাকার দূষণ নিয়ে বারবার উচ্চ আদালতের কঠোর বার্তা সত্ত্বেও নেই কার্যকর ব্যবস্থা। 

ঢাকার অস্বাস্থ্যকর বাতাস থেকে রক্ষায় গত ৮ মার্চ নগরবাসীর জন্য কিছু পরামর্শ দেয় বিশ্ব বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজ্যুয়াল। এর মধ্যে রয়েছে ‘ঘরের বাইরে শরীরচর্চা করা যাবে না।

বন্ধ রাখতে হবে বাসাবাড়ির দরজা-জানালা। ঘর থেকে বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। ঘরের বাতাস দূষণমুক্ত করতে চালিয়ে রাখতে হবে বায়ু বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র।’ ঢাকাবাসীকে গত শীতের শুরু থেকে প্রতিদিনই এ পরামর্শ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানটি। এই সময়ে কয়েক দিন পরপরই বিশ্বের দূষিত নগরীর শীর্ষে উঠে আসছে ঢাকার নাম।

এয়ার ভিজুয়ালের প্রতিবেদন অনুযায়ী এখন বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা। কখনো উঠে এসেছে এক নম্বরে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৮ মার্চ দিনভর ঢাকার বাতাস ছিল অস্বাস্থ্যকর।

ওইদিন বিকাল ৩টায় কারওয়ান বাজারে একিউআই (বায়ু মান সূচক) স্কোর ছিল ১৬৫; দূষণে ঢাকা ছিল বিশ্বের মধ্যে ষষ্ঠ। বিকাল ৪টায় কারওয়ান বাজারের একিউআই স্কোর হঠাৎ বেড়ে ২৮৩-তে গিয়ে দাঁড়ায়, যা চরম অস্বাস্থ্যকর। এ পরিস্থিতিতে শ্বাসকষ্ট বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, বয়স্ক ও শিশুদের সব ধরনের বাহ্যিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে দীর্ঘায়িত পরিশ্রম এড়াতে বলা হয়।

এস এস