ন্যাভিগেশন মেনু

পঞ্চগড়ে মৃতবস্থায় বিরল প্রজাতির সাপ রেড কোরাল উদ্ধার


পঞ্চগড়ে মৃত অবস্থায় বিরল প্রজাতির সাপ রেড কোরাল কুকরি উদ্ধার করেছে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক ও ফটোগ্রাফার ফিরোজ আল সাবাহ।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার পশ্চিম ভাণ্ডারু গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ে দেখার পর সাপটিকে মেরে ফেলন এলাকাবাসী।

মৃত সাপটি বর্তমানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষক ও ফটোগ্রাফার ফিরোজ আল সাবাহর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এই জেলায় দেখা মিললো এই সাপ।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেলার বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রথমবারের মতো এই প্রজাতির আরেকটি সাপ পাওয়া যায়। মাটি কাটার সময় জীবিত উদ্ধার করা হয় ওই সাপটি।

এই প্রজাতির সাপ, দেশে প্রথম দেখা গেছে এই জেলায়। উদ্ধার হওয়া প্রথম সাপটি বিশ্বে ২২তম ও দ্বিতীয় সাপটি ২৩তম বলে জানিয়েছে বনবিভাগ সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, ভান্ডারু গ্রামের আশরাফুল ইসলামের বাড়ির পাশের ওই বাঁশ ঝাড়ের মাটি সড়ানোর সময় সাপটি দেখতে পাওয়া যায়। পরে সাপটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন স্থানীয়রা৷

খবর পেয়ে ফিরোজ আল সাবাহ মৃত সাপটিকে উদ্ধার করেন।

ফিরোজ আল সাবাহ আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, বিষয়টি ঢাকা বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ফরেনসিক কর্মকর্তা কনক রায়কে জানিয়েছি। তারা এসে সাপটি নিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

কনক রায় বলেন, বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো পঞ্চগড়ে মৃত অবস্থায় ‘রেড কোড়াল কুকরি সাপটি উদ্ধার করা হয়েছে। সাপটি ঢাকায় নিয়ে সংরক্ষণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু এটি একটি বিরল প্রজাতির সাপ, তাই সংরক্ষণ করলে গবেষণাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। সাপটিকে সংরক্ষণে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

জানা গেছে - উজ্জ্বল, কমলা ও লাল প্রবাল রঙের এই সাপটি অত্যন্ত মোহনীয়, মৃদু বিষধারী ও অত্যন্ত নিরীহ। রেড কোরাল কুকরি হিমালয়ের পাদদেশের দক্ষিণে ৫৫ কিলোমিটার ও পূর্ব-পশ্চিমে ৭০ কিলোমিটার এলাকায় দেখা যায়। এই বিরল প্রজাতির সাপটি প্রথম দেখা যায় ১৯৩৬ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশে। সাপটি নিশাচর প্রাণী। বেশির ভাগ সময় এরা মাটির নিচেই অবস্থান করে।

এম টি আই/ এস এ/এডিবি