বরিশালে পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনের যাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনীর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই)।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশালে পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির।
নৌ-পুলিশ জানায়, ‘আঙ্গুলের ছাপ অনুযায়ি নারীর পরিচয় সনাক্ত করা হয়। দুই সন্তানের মা লাবনীর স্বামী পেশায় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান।’
গ্রেপ্তারকৃত মনিরুজ্জামান চৌধুরী (৩৪) গাজীপুরের কাবাসিয়া এলাকার আব্দুস শহীদের ছেলে। তবে তিনি ঢাকার মীরপুর-১ এর দারুস সালাম প্রিন্সিপাল আবুল কালাম রোডের সরকারি কোয়ার্টার এলাকায় বসবাস করতেন।
পুলিশ সুপার জানান, ‘নারীর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার আদমপুর এলাকায়। যদিও সে ঢাকার মিরপুরের পল্লবীতে বসবাস করতেন। নারীর সাথে লঞ্চে আগমন করা ব্যক্তির সন্ধানে নামে পিবিআই। এক পর্যায়ে সনাক্ত হওয়া ব্যক্তিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির সাথে লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ছবি মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে লাবনীর ব্যবহৃত ওড়না, মোবাইলসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, ‘তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। লঞ্চে রাতে বরিশাল যাবার পথে কেবিনে তাদের ঝগড়া হলে ওড়না দিয়ে পেচিয়ে লাবনীকে হত্যা করে মনিরুজ্জামান। এরপর লঞ্চটি বরিশালে পৌঁছালে মনিরুজ্জামান কৌশলে লঞ্চ থেকে নেমে পড়েন। তারপর বাসযোগে ঢাকা চলে আসে।’
পুলিশ আরও জানায়, ‘এটি তার তৃতীয় বিবাহ। আর নিহত লাবনীরও আগেও বিয়ে হয়েছিলো। তবে এই দুইজনের মধ্যকার আসল সম্পর্ক উদঘাটনে সময় লাগবে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘এ ঘটনায় নৌপুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা থেকে বরিশাল নদী বন্দরে আসা পারাবত-১১ লঞ্চের ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিন থেকে আনুমানিক ৩৮ বছর বয়সি অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
> পারাবত লঞ্চের কেবিনে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
ওয়াই এ/এডিবি