ন্যাভিগেশন মেনু

বাঁশখালীর বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীর ৫ দিনের রিমান্ড, গন্ডামারায় অভিযান অব্যাহত


বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।  শনিবার বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের বিচারক ৫ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন। এর আগে পুলিশ লেয়াকত আলীকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। তাছাড়া গন্ডামারায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি ওসি তোফায়েল আহমদের নেতৃত্বে গন্ডামারায় অভিযান চালানো হয়েছে। বর্তমানে গন্ডামারা শান্ত। অপরাধীরা আতংকে।

গত বুধবার লেয়াকত আলীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। অভিযানে লেয়াকত আলীর বাড়ি থেকে ১০টি অস্ত্র ও ৭২ পাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়লা প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে লেয়াকত আলী এস এস পাওয়ার প্লান্ট কয়লা বিদ্যুৎ এলাকায় নানা সমস্যা করে আসতেছিলেন গণ্ডামারার আলোচিত এই বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর অনুসারীরা। তারা পাওয়ার প্লান্টে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছিলো। এদিকে বর্তমানে পাওয়ার প্লান্ট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র‍্যাবের ফোর্স রয়েছে। বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

সুত্র জানায়, লেয়াকত আলীর দাবীর প্রেক্ষিতে প্রকল্প কর্মকর্তারা তাকে মোটা অংকের টাকা দেন। ওই টাকা পেয়ে লেয়াকত গন্ডামারা ত্যাগ করেন। এমনকি ফেসবুকে লাইভ দিয়ে হাইকোর্টে নেতাকর্মী নিয়ে জামিনের জন্য যান। হাইকোর্ট তাকে হাটহাজারী থানার একটি মামলাসহ ৩টি মামলায় জামিন দিলেও তার নামে আরো ২১টিরও বেশি মামলা তদন্তাধিন থাকায় বাঁশখালী থানা পুলিশের অনুরোধে ডিবি পুলিশ তাকে ঢাকার বিএনপি অফিসের আশপাশ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। 

এর আগে বিগত ১ বছরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অসংখ্য বার অভিযান চালালেও হতাহতের আশংকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। গন্ডামারা থেকে গ্রেফতার করলে তার লোকজন মহিলাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে লেয়াকতের গ্রেফতারে বাঁধা দিতে পারে এই আশংকায় পুলিশ তাকে গন্ডামারা থেকে গ্রেফতার না করে নিরাপদে গন্ডামারা থেকে বের হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন। বুধবার ঢাকায় অবস্থান করার এই সুযোগ ভালভাবেই কাজে লাগিয়েছে প্রশাসন। 

বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, একটি মহল তাকে দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন এবং সরকারী স্থাপনা টার্গেট করে আন্দোলন করছিল লেয়াকত আলী। তাকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে তার সেই আন্দোলন আন্দোলন খেলা বন্ধ করে দেয়া হল। গন্ডামারায় তার কোন অনুসারীকেই আর আন্দোলন নিয়ে দাড়াতে দেয়া হবে না। এক কথায় ডাকাত, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য দায়ী কাউকেই পুলিশ ছাড় দেবে না বলে জানান ওসি তোফায়েল।