শুধুমাত্র ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা বেদের ছদ্মবেশ ধরেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এলিট ফোরস র্যারের জালে তারা ধরা পড়েছে। এদের পূর্বপুরুষ বেদে সম্প্রদায়ের হলেও তারা বেদে পরিচয় ব্যবহার করত ইয়াবা কারবারের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে।
সাপের বদলে তাদের কাছে থাকত মরণনেশা ইয়াবা। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারি এড়াতে সঙ্গে রাখত ইমিটেশনের অলঙ্কার, চুড়ি-ফিতা।
সচরাচর সড়ক এড়িয়ে ভিন্ন পথে গ্রামের ভিতর দিয়ে চলাচল করত তারা। কখনো হেঁটে, কখনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা নৌপথে ভেঙে ভেঙে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান পৌঁছে দিত ঢাকায়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। র্যাবের হাতে পাকড়াও হয়েছে এ চক্রের পাঁচ সদস্য।
রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা থেকে তাদের আটক করে র্যাব। আটক কৃতরা হল- তারিকুল ইসলাম (২৩), মো. সিনবাদ (২৩), মিম মিয়া (২২), মো. ইমন (১৯) ও মো. মনির (২৮)।
এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা টিনের চুলার ভিতর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৭৭ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বিকালে রাজধানী ঢাকার কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার।
এস এস