করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব। এ থেকে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। চরম সতর্ক সরকার।
তাই করোনা মোকাবেলায় চট্টগ্রামে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯১, উত্তরের জেলা নওগাঁয় বিদেশ থেকে আসা ৮৮ জন, মাদারীপুর জেলার ১২৯ জন করোনাভাইরাসের জীবানু থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় বিশেষ ব্যবস্থায় (হোম কোয়ারেন্টাইন) তাদের ও তাদের পরিবারের লোকজনকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
এ তথ্য জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন। নওগাঁয় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৮৮ ব্যক্তি বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে ৮৮ জনকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে চট্টগ্রামে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯১ জন। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ৬০ জনকে। এরা সবাই ওমরাফেরত যাত্রী।
এদিকে মাদারীপুর জেলার শিবচরে আইসোলেশনে থাকা ইটালি প্রবাসীর সন্তানের সঙ্গে লেখাপড়া করা একই শ্রেণিকক্ষের ১৯ শিক্ষার্থীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ওই ১৯ শিক্ষার্থীসহ শিবচরেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৭০ জন। মাদারীপুর জেলার দেড় লাখ মানুষ ইটালিতে বাস করেন। জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১২৯ জন।
এছাড়া গত কয়েকদিনে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর জেলায় ১৩৮ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে ইতালি প্রবাসীর নারীকে। এর আগে ইটালি প্রবাসীর স্ত্রী ও সন্তানকে ঢাকার আইসোলেশনে পাঠানো হয়।
প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগসহ স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে ইটালি থেকে শিবচর পৌর এলাকার এক প্রবাসী দেশে আসেন। এর পর জ্বর কাশি অনুভব করলে তিনি শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকার আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয় তাঁকে। আইইডিসিআর-এর পক্ষ থেকে গত রবিবার সকালে শিবচরে এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে ঢাকায় আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার ওই প্রবাসীর শাশুড়িকেও ঢাকায় আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এস এস
আরো পড়ুন: