ন্যাভিগেশন মেনু

সাতছড়ি উদ্যানে মাটির মমতা পেয়ে হাসছে নার্সারির চারাগাছগুলো!


সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে নার্সারিতে প্রাণ ফুটেছে হাজার হাজার চারাগাছের। এই চারাগাছগুলো বিশেষ প্রজাতির ফলদ বৃক্ষের। যাকে সহজ ভাষায় পশুখাদ্যের গাছ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে। বিশেষত, জলপাই শিশুগাছের বড় বড় পাতাগুলো তাদের শারীরিক সুষম পুষ্টির প্রমাণ দিচ্ছে।

সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ বলেন, আমাদের এই নার্সারিতে ২২ প্রজাতির ২ লাখ ২৮ হাজার চারা রয়েছে। এর সবগুলোই পশু-পাখিখাদ্যের চারাগাছ। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের আমাদের সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জের ১১০ হেক্টর বাগানের জন্য এই চারাগুলোকে বড় করে তোলা হচ্ছে।

তিনি জানান, চারার মধ্যে রয়েছে আমলকি, হরিতকি, বহেরা, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, ডুমুর, মান্দার, পলাশ, শিমুল, চাপালিশ, জলপাই কালোজাম, ছতিয়ান, ডেওয়া, উরিয়াম, বট, বাঁশপাতা, কামদেব, হাঁড়গুজা, পিনজাম, বৈলাম এবং নারকেলি। বেশি পরিমাণে চারা আছে চাপালিশের।

বন্যপ্রাণী সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে রয়েছে পৃথিবীব্যাপী মহাবিপন্ন উল্লুক। এরা শুধুমাত্র লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান আর আমাদের এখানেই রয়েছে। আর দেশের কোথাও এত বড় সংখ্যায় এটা টিকে নেই। তো এদের চলাচলের জন্য উঁচু গাছ প্রয়োজন। কারণ এরা কখনোই মাটিতে নামে না। উঁচু গাছের পাশাপাশি উল্লুকসহ অন্যান্য প্রাণীদের প্রাকৃতিক খাদ্য নিশ্চিত করতেই আমাদের এরূপ উদ্যোগ।

বর্তমান বছরে আমরা সাতছড়ি রেঞ্জের সাতছড়ি বিট এবং তেলমাছড়া বিটের মোট ৫০ হেক্টর বাগানে ইতোমধ্যে ৮০ হাজার চারা ফলদ চারা এবং পশু খাদ্যের গাছ রোপণের কার্যক্রম চলছে বলে রেঞ্জার মাহমুদ জানান। 

এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমাদের ফলদ বৃক্ষের নার্সারিগুলোর উদ্দেশ্য পশুপ্রাণীদের খাদ্য তো বটেই।

এ ছাড়াও এগুলো রোপণ করা হলে দেশিয় প্রজাতির বৃক্ষগুলোও কিন্তু সংরক্ষণের আওতায় চলে আসছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এবং সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দেশিয় প্রজাতির ফলদ বৃক্ষরোপণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সিবি/এডিবি/