সামাজিক অবক্ষয় ক্রমেই বেড়ে চলছে। আবারও একটি সামাজিক অবক্ষয়ের ঘটনা ঘটলো গাজীপুরের শ্রীপুরে। শ্রীপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে সেই ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করেছে ধর্ষক।
এই ঘটনায় দুই কিশোরকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর বুধবার (২৭ মে) দুপুরে উপজেলার বরমী এলাকা থেকে অভিযুক্ত এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত কিশোরদের পরিবার শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া থাকেন। এদের একজনের বয়স ১৪ বছর, তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায়। অপরজনের বয়স ১৫ বছর, তার বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায়।
নির্যাতিত কিশোরীর স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। পাশাপাশি বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে ওই কিশোরের সঙ্গে কিশোরীর পরিচয় হয়। গত ১১ মে বাড়ি ফাঁকা থাকায় কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত কিশোর। পরে তাকে ধর্ষণ করে ওই কিশোর। এসময় তার সঙ্গে থাকা ১৫ বছর বয়সী আরেক কিশোর মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও প্রচারের ভয়ও দেখায় অভিযুক্তরা।
পরে গত মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোর ফেসবুকে ধর্ষণের ওই ভিডিও ছড়িয়ে দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে বাড়ির মালিক পুলিশে খবর দেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী সাংবাদিকদের জানান, কিশোরীর বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এনার্জি ড্রিংকসের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে এক কিশোরীকে অজ্ঞান করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চার বন্ধু। কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ওই চার বন্ধু একটি সেলুনে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করে। পরে লাইভে এসে অভিযুক্তরা হাসতে হাসতে বলতে থাকেন, “হ্যালো ফ্রেন্ডস, আগামীকাল হয়তো জেলে থাকব, কারও সাথে আর দেখা হবে না।
এডিবি/
