ন্যাভিগেশন মেনু

সৎ বাবার হাতে খুন, দেড় বছর পর উদ্ধার নায়িকার কঙ্কাল


খুব অল্প সময়ে বলিউডে পরিচিতি পেয়েছিলেন লায়লা খান। সুপারস্টার রাজেশ খান্নার বিপরীতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। ওই একটি ছবি থেকেই যথেষ্ট পরিচিতিও পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে নামের আগে বসেছিল সন্ত্রাসী তকমা, খুন হয়েছিলেন সৎ বাবার হাতে। তার শেষ পরিণতি ছিলো মর্মান্তিক। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।

লায়লার মৃত্যু হিন্দি থ্রিলার সিনেমাকেও হার মানিয়ে যায়।  ১৯৭৮ সালে মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। পরিবার যথেষ্ট অবস্থাপন্ন ছিলো তাঁদের। বাবা এবং মা  দু’জনেরই কাপড়ের ব্যবসা ছিলো। মা-বাবার ব্যবসায় হাল না ধরে লায়লা অভিনয়ের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।

২০০৮ সালে রাজেশ খান্নার সঙ্গে ‘বফা: এ ডেডলি লভ স্টোরি’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন লায়লা। ২০১১ সালে অভিনয় করেন ‘ফারার’ সিনেমায়। প্রযোজক হওয়ার ইচ্ছা ছিলো লায়লার। তার প্রযোজনায় শাহিদ কাপুর বা সাইফ আলি খানের সঙ্গে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি।

বলিউড থেকে হঠাৎ লাপাত্তা হয়ে যান লায়লা। দেড় বছর পর মুম্বাই থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে একটি বাগান থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছিল।

২০১১ সালের ৩০ জানুয়ারি রাতে সৎ বাবা পারভেজ, মা সেলিনা এবং ৩ ভাইবোনকে নিয়ে মুম্বাইয়ের একটি হলিডে হোমের ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন লায়লা। সেখানে খুন হন লায়লা, নিরাপত্তারক্ষীর সাহায্য নিয়ে মাটি খুঁড়ে পুতে দেওয়া হয় তার দেহ। লোহার রড, ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছিল তাকে।

পুলিশ একসময় পারভেজকে গ্রেপ্তার করে। তার দেখানো জায়গা থেকেই দেড় বছর পর উদ্ধার করা হয় অভিনেত্রীর কঙ্কাল। শুধু অভিনেত্রীই নন, তার মাকেও সেদিন খুন করেছিল পারভেজ।

ওআ/