ন্যাভিগেশন মেনু

৩৮-এ পা দিলেন জয়া আহসান


আজ এপার-ওপার দুই বাঙলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের জন্মদিন। ১৯৮৩ সালের ১ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন দেশের সবচেয়ে সেরা এই অভিনেত্রী। দেখতে দেখতে জীবনে ৩৭ টি বসন্ত পেরিয়ে আজ ৩৮-এ পা দিলেন তিনি। 

ক্যারিয়ারের শুরুতে ছোটপর্দায় সরব ছিলেন জয়া আহসান। নাটক ও বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে জয় করে নিয়েছিলেন দর্শকের হৃদয়। পেয়েছেন সাফল্য। তবে অভিনয় শুরুর আগে নাচ ও গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন জয়া। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছবি আঁকা শিখেছিলেন। পাশাপাশি তিনি রবীন্দ্র সংগীতের উপর ডিপ্লোমা কোর্স এবং শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন।

জয়ার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এর ৬ বছর পর নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাঁতার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০১১ সালে তানিম নূর পরিচালিত ফিরে ‘এসো বেহুলা’ এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

গেরিলায় বিলকিস বানু চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সমালোচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ নারী চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন।

একই চরিত্রের জন্য ২০১৩ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে প্রদত্ত বাচসাস পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন এই শিল্পী।

তাছাড়া ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে সাফল্যের পর থেকে তিনি নিয়মিত বাংলাদেশ ও ভারতের কলকাতার চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’তে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এর জন্য টানা দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।

এদিকে, জয়া আহসান এ পর্যন্ত চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।

ওআ/