ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা: ঢাকায় শনাক্ত ৬০টি নমুনার মধ্যে ৪১টি ভারতীয় ধরন


ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা করোনাভাইরাসের ৬০টি নমুনার মধ্যে ৪১টিতেই ভারতীয় ধরন ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)। যা নমুনা শনাক্তের ৬৮ শতাংশ।

এছাড়া, ২২ শতাংশ নমুনায় পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট। বাকি নমুনাগুলো অন্যান্য ধরনের।

আইসিডিডিআর,বি জানায়, গত মে মাসের শেষ সপ্তাহ ও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাতে আইসিডিডিআর,বি-এর জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে ৩ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে করোনার ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে তার মধ্যে ৪০টি ভারতীয় ধরন পাওয়া গিয়েছিল। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) এই ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে।

তারও আগে গত ৩০ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, দেশে করোনায় আক্রান্ত ১৪০ জনের দেহে বিদেশি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৮৫ জনের দক্ষিণ আফ্রিকান, ২৩ জনের ভারতীয়, ২৭ জনের ইউকে এবং পাঁচ জনের দেহে নাইজেরিয়ান ধরন পাওয়া গেছে।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, করোনার ধরন কোনো নতুন বিষয় নয়। যতো জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে ততো নতুন ধরন শনাক্ত হবে। নতুন নতুন ধরনের আবির্ভাব হবে। ধরন যা-ই হোক না কেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে তিনি সংক্রমণের হার কমানোর লক্ষ্যে এবং দেশে ভারতীয় ধরনসহ করোনার অন্যান্য ধরনের বিস্তার রোধে জনসাধারণকে সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

ঈদুল ফিতরের পর ভারতের সীমান্তবর্তী ১৫টি জেলায় রোগী দ্রুত বাড়তে শুরু করে। গত কিছুদিন ধরে সারাদেশেই রোগী বাড়তে শুরু করেছে।

এডিবি/