ন্যাভিগেশন মেনু

কুষ্টিয়ার মিরপুরে গরু চুরির হিড়িক


কুষ্টিয়ার মিরপুরে গরুচুরির হিড়িক পড়েছে। কখন গোয়াল থেকে গরু চুরি হয় এই আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। গত কয়েক মাসে এ উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাতে সর্বশেষ উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মুসা প্রামাণিক নামে এক গ্রামপুলিশের বাড়ী থেকে ৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়াও গত সপ্তাহে উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বলিদাপাড়া মাঠপাড়া থেকে লাল প্রামাণিকের বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরেরা। কয়েক সপ্তাহ আগে চা দোকানি মাসুদের তিনটি গরু চুরি হয়ে যায়।

পুলিশের নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে একের পর এক চুরি করে যাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ জমানো সঞ্চয়, ধারদেনা কিংবা ঋণ নিয়ে গরু কিনে তা লালন পালন করে থাকেন। সংসারে একটু স্বচ্ছলতা আনতে তারা অনেক কষ্ট করেন। গরুর দুধ বিক্রি করে পরিবারের খরচের টাকা যোগান। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে। রাতের বেলায় যেসব সড়কে আলো থাকে না কিংবা অনেকটা নির্জন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশি উন্নত বিশেষ করে সে সব এলাকায় চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে।

ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তি জানান, গরুর ঘর থেকে রশি কেটে অথবা খুলে গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তবে এসব ঘটনায় গরু চোরদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, গরুচুরি রোধে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।

আইআই/এসএ/এডিবি/