কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার একটি বাড়ি থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ জুন) বেলা ১২টার দিকে শিমুলিয়া ইউনিয়নের বসোয়া গ্রামে মৃত আব্দুর রহিমের বাড়ি থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেনেডটি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বলে ধারণা করছে পুলিশ এবং স্থানীয়রা।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান জানান, ওই এলাকায় তাদের অস্থায়ী একটি ক্যাম্প ছিল। সে সময় মুক্তিযোদ্ধারা এ ধরণের হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করতেন। তার ধারণা গ্রেনেডটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার।
আব্দুর রহিমের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, মাসকয়েক আগে বাড়ির উঠানে বহু বছর আগে লাগানো একটি শিমুল গাছ বিক্রি করে দেওয়া হয়। গাছটি কাটার সময় মাটির নিচে গাছের শেকড়ের কাছে শ্রমিকরা হ্যান্ড গ্রেনেডটি পায়। তিনি সেটি তার স্বামীর স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে নিজের শোওয়ার ঘরে ধানের মাচালের পাশে মাটিতে রেখে দেন। কিন্তু গ্রেনেডটি রাখার পর তার মনে ভয়ের সঞ্চার হলে তিনি নিজেই বুধবার খোকসা থানায় খবর দেন।
বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ এসে গ্রেনেডটি উদ্ধার করে স্থানীয় বসোয়া বাজারের পাশে মাঠের মধ্যে বাঁশ দিয়ে ঘিরে রেখে আসে এবং সেখানে লাল রংয়ের পতাকা টাঙিয়ে দেয়।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের একটি দল বুধবার বেলা ১২টার দিকে ওই বাড়ি থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় হ্যান্ড গ্রেনেডটি উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, হ্যান্ড গ্রেনেডটি খুবই ছোট আকৃতির। তাতে মরিচা পড়ে গেছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে গ্রেনেডটিকে এ্যাকটিভ হিসেবে বিবেচনায় নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই ঢাকায় পুলিশের বোম ডিস্পোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। আপাতত উদ্ধারকৃত হ্যান্ড গ্রেনেডটি পুলিশ এবং স্থানীয় চৌকিদারের পাহারায় নিরাপদে রাখা হয়েছে। তার অনুমান গ্রেনেডটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার হতে পারে।
এএমএস/এসএ/এডিবি/
