কুষ্টিয়ার ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন।
তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ২৮০ জন। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ২৫০ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরো ৩০ জন। আগের দিন যেখানে রোগীর সংখ্যা ছিল ২৪৩ জন।
কুষ্টিয়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ জন এবং করোনার লক্ষণ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রেকর্ডসংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, শয্যা না থাকায় এখন রোগীদের মেঝেতে রাখতে হচ্ছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে সেবা প্রদান করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে রোগীর চাপ অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। এর আগে অক্সিজেন সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ ২০০ অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালে রোগীর চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ার কথা শুনে শনিবার এমপি মাহবুব উল আলম হানিফ আরও একশো অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, 'জুন মাসে জেলায় করোনা পরিস্থিতি যে ভয়ংকর হবে এটা আমরা ধারণা করেছিলাম। তবে এত বেশি তাণ্ডব চালাবে সেটা আমাদের ভাবনার বাইরে ছিল।'
তিনি বলেন, সামাজিক দুরত্ব রক্ষা না করার পাশাপাশি মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলার কারণে জেলায় এখন করোনার কমিউনিটি ট্রেনজেকশন দেখা দিয়েছে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ছাড়া আমাদের সামনে এ থেকে বের হয়ে আসার আর কোন পথ নেই।
এদিকে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২২৯টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আইওয়াই/সিবি/এডিবি/