ন্যাভিগেশন মেনু

কোভিড ভ্যাকসিন ছাড়পত্রের পর দেশবাসীকে শুভেচ্ছা মোদি’র


ভারতে কোভিড টিকা উৎপাদনের সাফল্যকে আত্মনির্ভরতা জয়গাথা বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন।

ওই শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি  গবেষক, কোভিড যোদ্ধাদেরও অভিনন্দন জানান। তিনি এই সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বললেন, ভারত আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ এগোল।

এদিকে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি কোভিড টিকা ছাড়পত্র পেল দেশে। অপর টিকাটিও দেশীয় সংস্থার সঙ্গে গাটছড়া বেঁধে তৈরি হয়েছে। এই সাফল্যকে আত্মনির্ভরতা জয়গাথা বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংশ্লিষ্টদের শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে কোভিড-১৯ টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকার আজ রবিবার ৬০০ কোটি টাকার বেশি জমা দেবে ব্যাংকে। বিনিময়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট দেবে ব্যাংক গ্যারান্টি।

ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান  ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অগ্রিম টাকা হিসেবে এটা নেবে এবং বাকি টাকা টিকা সরবরাহ শুরু করার পর দেওয়া হবে।

সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ টিকা আনতে পারবে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। শনিবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।

সুতরাং ভারতের ওই টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

রবিবার সেরাম ইন্সস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দেয় ভারতের ডিসিজিআই। এরপরই একাধিক টুইট করে দেশবাসী, কোভিডযোদ্ধা, গবেষকদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মোদি লেখেন, “কোভিড যুদ্ধে এটাই টার্নিং পয়েন্ট।” অর্থাৎ জোড়া ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এক নয়া মোড় এনে দিল বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরেকটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ছাড়পত্র পাওয়া দু’টি টিকাই ভারতে তৈরি। তাই প্রত্যেক ভারতবাসীর গর্বিত হওয়া উচিত। আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যেতে আমাদের বিজ্ঞানীরা যে কতটা আগ্রহী, এটাই তার প্রমাণ দিল।

এদিন তিনি প্রত্যেক কোভিড যোদ্ধা-চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, সাফাই কর্মী, পুলিশ কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। মোদি লেখেন, “সমস্ত কোভিড যোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। সংকটকালে বহু মানুষের জীবন রক্ষার জন্য এঁদের কাছে আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব।”

উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারতে তৈরি ও সরবরাহ করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। আদর পুনাওয়ালার সংস্থায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিন তৈরি ও সরবরাহ করছে।

এদিকে ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের যৌথ গবেষণার ফল কোভ্যাক্সিন। যা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এই দুই ভ্যাকসিনকে ভারতে কোভিড মোকাবিলায় ব্যবহারে ছাড়পত্র দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।

এস এস