ন্যাভিগেশন মেনু

কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ২৩ মার্চ


গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালে ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে করা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ আগামী মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) এ রায় ঘোষণা করা হবে।

রবিবার (২১ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত মামলাটি যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা রায় ঘোষণার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, 'গত ১১ মার্চ মামলাটিতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের এই তারিখ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ওই রায় ঘোষণা করবেন।'

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ। এর মধ্যদিয়ে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় এজাহারভুক্ত ৫০ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন৷

মামলার আসামীরা হলো - আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল, তারেক, ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, আনিসুল ইসলাম ও সারোয়ার হোসেন মিয়া।

এর মধ্যে মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান জামিনে আছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে ২০০০ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়।

ওই মাঠেই পরদিন শেখ হাসিনার সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করেন।

এরপর ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মামলার অভিযোগপত্র দেন।

২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।

সিবি/এডিবি