ন্যাভিগেশন মেনু

কোম্পানীগঞ্জে নিহত আলাউদ্দিনের পরিবারে চলছে আহাজারি


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দুইগ্রুপের সমর্থকদের সংঘর্ষে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের পর এবার গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন আলাউদ্দিন (৪০) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। আলাউদ্দিনকে হারিয়ে শোকে আর্তনাদ করছে তার পরিবার।

নিহত আলাউদ্দিনের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের চরকালি গ্রামে। তার বাবার নাম মমিনুল হক (৭০)। মা মরিয়মের নেছা পাখি (৬৫)। পরিবারের ৬ ভাই ও এক বোনের মধ্যে আলাউদ্দিন মেজো। তিনি চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

নিহত আলাউদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চরকালি গ্রামের সেই ঘরে এখন সন্তান হারানো মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ চলছে। চলছে মা মরিয়মের শোকের মাতম। আলাউদ্দিনের ২ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়ে শিশুকে নিয়ে তিনি আহাজারি করছেন। সন্তানদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা বলতে বলতে বুক চাপড়ে কাঁদছেন তিনি। আর বেদনার বিলাপে সন্তানের খুনীদের বিচারের দাবি করছেন বারবার।

বৃদ্ধ বাবা মমিনুল হকও সন্তানের অকালে চলে যাওয়া সহ্য করতে না পেরে বারবার অচেতন হচ্ছেন। সেইসাথে স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী পারভিন আক্তার সুমিও কাঁদছেন অঝোরে।

আলাউদ্দিনের ছোট বোন রুনি বেগম আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, 'মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন আলাউদ্দিন। যাবার সময় বলে গিয়েছিলেন বাদল চেয়ারম্যানের (কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল) মিটিং আছে। সেখানে যাচ্ছি। মিটিংতো শেষ কিন্তু আমার ভাইতো ফিরলো না।'

তিনি আরও বলেন, 'এর আগে গত হরতালের সময় আমার ভাইয়ের সিএনজিটাও পুড়িয়ে দিয়েছিলো মির্জা সাহেবের লোকেরা। আর এখন ভাইকেও মেরে ফেললো।'

প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ডিএ/ ওয়াই এ/এডিবি