নাটোরের গুরুদাসপুরে সুবর্ণা (১৯) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার বিলহরিবাড়ি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
পরে বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
নিহত সুর্বণার বাবার বাড়ি পাশের উপজেলা তারাশের কুন্দইল গ্রামে। তিন বছর আগে গুরুদাসপুরের বিলহরিবাড়ি গ্রামের জামাল মোল্লার ছেলে সাগরের (২৫) সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সাগর পেশায় কৃষক।
নিহত সুর্বণার বাবা কৃষক হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, 'যৌতুকের জন্য জামাই এবং শাশুড়ী প্রায়ই মেয়েটিকে নির্যাতন করতেন।' বুধবার সকালে হঠাৎ করেই তিনি খবর পান যে মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
সুর্বণার মা শাহানাজ বেগম জানান, 'জামাই সাগরের মা সম্পর্কে তার আপন বোন। বোনের ইচ্ছাতেই মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের সময় গহনা ও নগদ ৪০ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু বোন ও জামাই তার মেয়েটিকে কারণে অকারণে নির্যাতন করতেন।' তিনি এই হত্যার বিচার দাবি করেন।
বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'সাগরের পরিবার দাঙ্গা প্রকৃতির। ওই পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে।'
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, হত্যার খবর পেয়ে তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে যান।
এএস/সিবি/এডিবি/
