ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রামে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় ৩০ জন শীর্ষ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭


চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় হাতেনাতে ৩০ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির টাকা ও বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে বহদ্দারহাটে মিডিয়া সেন্টারে (সিপিসি-৩) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য জানায় র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মাহবুব আলম।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে অবৈধ উপায়ে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিক্সা ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় এসব চাঁদাবাজির অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়। বিশেষ এই অভিযানে চাঁদাবাজির সময় ৩০ জন চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করা হয়। 

তিনি বলেন, চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় যাত্রীবাহী সিএনজি থেকে চাঁদা আদায়কারী ১৩ জন, একই থানাধীন বালুর টাল এলাকা থেকে চাঁদা আদায়কারী ৪ জন, পাহাড়তলী থানাধীন হোটেল মেরিন সিটির সামনে থেকে যাত্রীবাহী মিনিবাস থেকে চাঁদা আদায়কারী ৪ জন, আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় হতে ৩ জন এবং বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন মোড় হতে যাত্রীবাহী মিনিবাস ও ট্যাম্পু থেকে চাঁদা আদায়কারী ০৬ জনসহ মোট ৩০ জন চাঁদাবাজকে নগদ ৪১ হাজার ৫৬৩ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়। 

চাঁদাবাজদের দেয়া তথ্য মতে-

১)   চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় রিয়াদ এবং বখতিয়ার উদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রতিদিন সিএনজি অটোরিক্সা হতে মাসিক ১ হাজার টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা আদায় করে। উক্ত চাঁদার অর্থ শাহেদ রানা এবং মোঃ আবুল হোসেন নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

২)   চান্দগাঁও থানার বালুর টাল এলাকায় রুবেল ওরফে ইয়াবা রুবেল এবং মিজানের নেতৃতে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা প্রতিদিন ৩০ টাকা করে আনুমানিক ২০০টি ট্রাক থেকে ৬ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। উক্ত চাঁদার অর্থ সবুর এবং শফিক নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে।

৩)  পাহাড়তলী থানা এলাকায় মোঃ পেয়ার আহম্মেদের নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে মোট ০৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা টমটম/সিএনজি থেকে মাসে ৮০০ করে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ খলিলুর রহমান নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

৪)   আকবরশাহ এবং এ কে খান মোড় এলাকায় নারায়ন দে এর নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, মিনিবাস থেকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ সমু এবং নিপু নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

৫)    বায়েজিদ থানাধীন অক্সিজেন মোড় এলাকায় মোঃ সোহেলের নেতৃত্বে চাঁদা আদায় অবস্থায় হাতেনাতে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, মিনিবাস এবং ট্যাম্পু থেকে মাসিক ৮০০ টাকা করে ৮০ হাজার চাঁদা আদায় করে থাকে। উক্ত চাঁদার অর্থ নূরুল হক পুতু নামক ব্যক্তির নিকট জমা করে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

এই অভিযানে ৪১ হাজার ৫৬৩ টাকা উদ্ধার ও ৩০ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়। সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত ৩০ জন চাঁদাবাজের মধ্যে ১০ জনের নামে হত্যা, দস্যুতা, লুন্ঠন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতিসহ অসংখ্য মামলার তথ্য পাওয়া যায়।