ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রাম বন্দরের ৬৭২১ শ্রমিক-কর্মচারীরা পেলেন ঈদুল ফিতরের প্রনোদনা


আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দরের অধীন বার্থ, টার্মিনাল ও শিপ হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে নিয়োজিত ৬৭২১ জন শ্রমিক-কর্মচারীদের বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। চট্টগ্রাম বন্দরের নিবন্ধিত ৬ হাজার ৭২১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে ৭ হাজার টাকা করে ৪ কোটি ৭০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা প্রণোদনা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে বন্দর ভবনের সামনে এক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ান অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল ঈদুল ফিতরের প্রণোদনার নগদ টাকা ১৫ জন শ্রমিক কর্মচারীকে প্রতিকী হিসেবে হস্তান্তর করেন। অবশিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য তাদের বার্থ অপারেটর, টার্মিনাল অপারেটর ও শীপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের মাধ্যমে চেক প্রদান করা হয়। 

এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান,  সকল বিভাগীয় প্রধান, বার্থ, শীপ ও টার্মিনাল অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে একরাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক কর্মচারীগণ  উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান ওয়েলফেয়ার অফিসার ও পারসোনেল অফিসার মো: নাসির উদ্দিন

চবক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের প্রথম ও প্রধান সমুদ্র বন্দর হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের আমদানি রপ্তানির ৯২ শতাংশ এই বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে বলা হয় বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। আর বন্দরের শ্রমিক কর্মচারীরা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের লাইফলাইন। বন্দরের শ্রমিকরা ভালো না থাকলে বন্দর ভালো থাকবেনা।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি যেমন সবসময় শ্রমিক কর্মচারী তথা মেহনতী মানুষের ভালো থাকার কথা চিন্তা করতেন তেমনি তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শ্রমিক কর্মচারীদের জীবন মান উন্নয়নের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি বিশ্বাস করেন শ্রমিক কর্মচারীদের জীবন মানের উন্নয়ন ব্যতিত দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। তার এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাস্তবায়নের অন্যতম অংশীদার চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক কর্মচারীরা যাতে একটু ভালোভাবে ঈদ কাটাতে পারে তার জন্য মালিক কর্তৃক বোনাস প্রদানের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষ থেকে ঈদুল ফিতরের বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের বিজয় দিবসে ৬ হাজার ৬৭১ জন শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রত্যেককে ৮ হাজার টাকা করে মোট ৫ কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

গত ঈদুল ফিতরে ৬ হাজার ৬৭১ জন শ্রমিক-কর্চারী প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ২০১৫ সালে ৬ হাজার ৫৬১ জনের প্রত্যেককে ৭ হাজার টাকা করে মোট ৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে ৬ হাজার ৫০৯ জনকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা করে মোট ৫ কোটি ৫৩ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা, ২০২০ সালে ৭ হাজার ২৩৪ জনকে ১১ হাজার টাকা করে মোট ৭ কোটি ৯৫ হাজার ৭৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

গত ২০২১ সালে করোনা মহামারির মধ্যে দুই দফা প্রণোদনা দেওয়া হয়। একই বছরের মে মাসে ৭ হাজার ৫৫৭ জনকে দেড় হাজার টাকা করে মোট ১ কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা এবং সেপ্টেম্বরে ৬ হাজার ৭৫২ জনকে আড়াই হাজার টাকা করে মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ২০২২ সালে ৬ হাজার ৬৯৮ জনকে ৯ হাজার টাকা করে মোট ৬ কোটি ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল