ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রাম-৮ আসনে ছালামের বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ আনেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়


ইউপি চেয়ারম্যানদের যোগসাজশে ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রাম-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের আবদুছ ছালামের বিপক্ষে টাকা দিয়ে ভোটার এবং বিএনপি নেতাদের কেনার অভিযোগ করেছেন এই আসনের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলকপি প্রতীকের বিজয় কুমার চৌধুরী কিষান।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিজয় কুমার চৌধুরী বলেন, ‘কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুছ ছালামের পক্ষে আমুচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজল দে, পোপাদিয়ার জসিম উদ্দিন ও সারোয়াতলীর বেলাল আহমদ ভোটারদের বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করছেন, টাকা দিচ্ছেন’।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে আপনারা দেখেছেন বিএনপি তাদের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। চট্টগ্রাম মহানগরের পাঁচলাইশ থানা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম আবদুচ ছালামের প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করা বিএনপির নেতাকর্মীদের টাকা দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় এনে ভোটারদের নানা ভাবে প্রভাবিত করছেন’।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতার উপকারভোগী কার্ড ভোটারদের সেগুলো না দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন ছালাম সাহেবের পক্ষের চেয়ারম্যানরা। অনেকে টাকা ছড়াচ্ছেন। যাদের কোনো জনসম্পৃক্ততা নেই। তারা ওই এলাকায় ১৫ বছরে একবারও যাননি’।

চসিকের সাবেক কাউন্সিলর বিজয় বলেন, ‘আমি বোয়ালখালীর সন্তান। চট্টগ্রাম-৮ আসনের নদীর এ পাড়ে আমরা নাগরিক সুবিধা ভোগ করি। কিন্তু আমার প্রাণের বোয়ালখালীতে গ্রামীণ পরিবেশ। মাইনুদ্দিন খান বাদল বোয়ালখালীর উন্নয়নে কাজ করেছেন। তার মৃত্যুর পর দুইটি উপ-নির্বাচন হয়েছে। একটিতে মোছলেম উদ্দিন আহমদ নির্বাচিত হন। তিনি অনেক প্রকল্প হাতে নেন। এরপর নোমান আল মাহমুদ অল্প সময়ে অনেক কাজ করেছেন। আমি নিশ্চিত হয়েছি, কালুরঘাট সেতু প্রধানমন্ত্রী করে দেবেন। শিগগির কাজও শুরু হবে আশাকরি’।

তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে বোয়ালখালীবাসীকে একটি স্মার্ট এলাকা উপহার দিতে চাই। ঐতিহ্যবাহী স্যার আশুতোষ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করতে চাই। এ কলেজ অনেক পুরোনো। বাংলাদেশের অনেক রথী মহারথী এ কলেজ থেকে পাশ করেছেন। শিক্ষা এবং অবকাঠামো উন্নয়নে আমি অগ্রাধিকার দেব’।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের ও সাবেক শ্রমিক নেতা মহব্বত আলী খান।
এরপর তিনি শেষ দিনের প্রচারণায় নগরের মুরাদপুর এলাকা এবং বোয়ালখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে ‘ফুলকপি’ প্রতীকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে চষে বেড়ান।

এসময় তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি আমার এলাকার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুঃখে ভাই হয়ে পাশে থাকব। প্রচারণার অল্প সময়ে সবার দুয়ারে যাবার চেষ্টা করেছি। যাদের কাছে যেতে পারিনি, আপনারা আমাকে বিনয়ের সাথে ক্ষমা করবেন। আশা করি বিজয়ের হাসি আপনাদের সবাইকে নিয়েই হাসবো’।

এসময় উপজেলার আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী জনসংযোগে উপস্থিত ছিলেন।