ন্যাভিগেশন মেনু

ছোট যমুনায় রাবারড্যাম হলে সেচ সুবিধা পাবে কয়েকশ কৃষক


দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নে ছোট যমুনা নদীটি খনন করে ভাটি এলাকার জানিপুরে রাবারড্যাম নির্মাণ করলে সেচ সুবিধা পাবে কয়েকশ কৃষক। আর সেচের আওতায় আসবে কয়েক হাজার একর জমি।

যমুনা নদীটি খনন না করায় নদীর উপরের অংশে পলি জমে গেছে। চৈত্র মৌসুমে এই নদীতে পানি থাকেনা। ধু ধু বালুচর।  চর  এলাকায়  স্থানীয় লোকজনেরা বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করেন। নদীটি খনন না করার ফলে এটি এখন মরা খালে পরিণত হচ্ছে।

সরকার দেশের নদীগুলো খনন করে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে। কিন্তু ফুলবাড়ী উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীটি খননের কোন উদ্যোগ নেই। বর্ষা মৌসুমে নদী এলাকার কৃষকদের শত শত বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শিবনগর, খয়েরবাড়ী ও দৌলতপুর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর দুইতীর রক্ষার্থে ব্লক দিয়ে তা প্রতিরোধ করতে পারছে। কিন্তু ফুলবাড়ী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কাজ না করার ফলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কৃষকদের শত শত বিঘা জমি।

এলাকার মানুষের দাবি, নদীটি খনন করে ভাটি এলাকার জানিপুরে যমুনা নদীর উপর রাবারড্যাম নির্মাণ করলে সারাবছর এই  যমুনা নদীতে পানি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। আর এই পানি দিয়ে কৃষকরা তাদের জমি চাষাবাদ করতে পারবে।

সারাবছর নদীতে পানি থাকলে মৎস্যজীবীরা মাছ চাষও করতে পারবে এবং তাদেরও জীবন জীবিকার পথ প্রশস্ত হবে। মাছচাষীরা এখন বেকার হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী বহুবার রাবারড্যাম নির্মাণের জন্য এবং নদীটি খননের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদেরকে বারবার বললেও নদীটি খনন বা রাবারড্যাম নির্মাণে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি থাকলেও কিছুদিনের মধ্যে আবার পানি নেমে গেলে সেই চর জেগে ওঠে। এই নদীর পানি সংরক্ষণ করতে পারলে একদিকে যেমন কৃষক লাভবান হবেন অন্যদিকে মাছ চাষীরাও লাভবান হবেন।

এদিকে একশ্রেণির লোক নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে চাষীদের জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন মাঝে মধ্যে ব্যবস্থা নিলেও আবারও তারা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই নদীটি সংস্কার করার লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণ পানিসম্পদ মন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এস এ/এডিবি/