ন্যাভিগেশন মেনু

জীবননগরে বসতঘর থেকে মারা হলো ২২ গোখরো


চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের একটি বসতঘর থেকে ২২টি বিষধর গোখরো সাপের বাচ্চাকে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয়রা।

বুধবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উথলী গ্রামের আমতলা পাড়ার কিনু মন্ডলের ছেলে মনি মিয়ার বসতঘর থেকে সাপগুলো মারা হয়।

মনি মিয়া বলেন, আমার বসতঘরের মেঝেতে হঠাৎ ইদুরের গর্ত দেখতে পাই। এতে আমার সন্দেহ হয় যে ওই গর্তের ভেতরে সাপ থাকতে পারে। এমন সন্দেহ থেকেই আজ বিকেলে কয়েকজন যুবককে নিয়ে ঘরের মেঝের মাটি কোপাতে শুরু করি। এর পরপরই মেঝে থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে একেকটি গোখরো সাপের বাচ্চা। ঘরের অর্ধেক মাটি কাটা শেষ হতেই ২২টি গোখরো সাপের বাচ্চা পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, তবে সাপের বাচ্চাগুলোকে মেরে ফেলা হলেও মা সাপটি ধরতে না পারায় আতংক বিরাজ করছে। বৃষ্টি এবং সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারনে গর্ত খোড়ার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে গর্তের মুখ বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে আবার ওই গর্ত খোঁড়া হবে।

স্থানীয় ওঝা রফিকুল ইসলাম সাপগুলো দেখে এগুলোকে গোখরা সাপ বলে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, এটা কোবরা যা অনেক এলাকায় গোখরা সাপ হিসেবে পরিচিত। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষাক্ত সাপ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ সাপটি ফসলের ক্ষেত, জলাভূমি, বন ও মানুষের বসতিতে বাস করে। সাধারণত জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে স্ত্রী সাপ ১০ থেকে ৩০টি ডিম পাড়ে এবং ডিম না ফুটে বাচ্চা বের হওয়া পর্যন্ত মা সাপ ডিমের সাথেই থাকে। নিশাচর এই সাপটি মাছ, ইদুর, ব্যাঙ, টিকটিকি, ছোট সাপ ইত্যাদি খেয়ে থাকে। সাপটি সারাদেশেই কমবেশি দেখা যায়।

একসঙ্গে এতগুলো বাচ্চা পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, একইস্থানে একাধিক সাপ ডিম পাড়া অস্বাভাবিক নয়।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, উথলী গ্রামের আমতলা পাড়ায় একটি বসতঘরের মেঝে থেকে ২২ টি বিষধর গোখরো সাপ উদ্ধারের বিষয়টি শুনেছি।

এসকে/সিবি/এডিবি/