ন্যাভিগেশন মেনু

মর্ডানা ও সিনোফার্মের ৪৫ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে


মার্কিন সরকার সম্প্রতি এশিয়ার দেশগুলোর জন্য কোভ্যাক্সের আওতায় ২ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা বরাদ্দ করেছে। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উপহার দেওয়া মর্ডানার তৈরি ভ্যাকসিনের ২৫ লাখ ডোজ টিকা দুই দফায় দেশে পৌঁছেছে।

শনিবার (৩ জুলাই) ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছায় মর্ডানার এই দ্বিতীয় চালান। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের কাছ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকার এই চালান গ্রহন করেন।

এর আগে রাত ১১টা ১৩ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে টিকার প্রথম চালান ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

প্রথম দফায় টিকা গ্রহণ করা পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা আনন্দের সঙ্গে বলছি, আমরা ১৩ লাখ টিকা গ্রহণ করলাম। আরও ১২ লাখ ডোজ টিকা (শনিবার) সকালে এসে পৌঁছাবে। সব মিলিয়ে ২৫ লাখ ডোজ মডার্নার টিকা আমরা পেতে যাচ্ছি।

করোনাভাইরাসের টিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। এই দুঃসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যটা (টিকা পাঠানো) খুবই দরকার ছিল।’

মডার্নার তৈরি টিকা ইতোমধ্যে জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ টিকা ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সের মানুষ দুই ডোজ করে দিতে হয়। প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।

অন্যদিকে, চিন সরকারের কাছ থেকে কেনা সিনোফার্মের কোভিড টিকার মধ্যে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে দেশে এসে পৌঁছে ২০ লাখ ডোজ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেই টিকাও গ্রহণ করেন। এর ফলে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশ পেলো মডার্না ও সিনোফার্মের ৪৫ লাখ ডোজ টিকা।

চিন থেকে সিনোফার্মের যে দেড় কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশ কিনছে, এটি তার প্রথম চালান। 

এর আগে গত মে-জুনে উপহার হিসেবে চিন সরকারের দেয়া সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ১১ লাখ ডোজ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মডার্নার টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর।

এমআইআর/এডিবি/