ন্যাভিগেশন মেনু

নাটোরে কোরবানির পশু প্রস্তুত সাড়ে ৩ লাখ, দুশ্চিন্তায় খামারীরা


নাটোর জেলায় আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। তবে চলমান লকডাউনের কারণে এসব পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন খামারীরা। একই কারণে তারা আর্থিক লোকসানে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন।

তবে খামারীদের আর্থিক লোকসান ঠেকাতে অনলাইন পশুরহাট, বিভিন্ন স্থানে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা এবং জেলার বাইরে পশু পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদে মোট প্রস্তুতকৃত পশুর সংখ্যা তিন লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৮টি। এরমধ্যে গরু ও মহিষ এক লাখ ১৯ হাজার ৮৪টি ও ছাগল, ভেড়া দুই লাখ ১৫ হাজার ১৭৪টি। খামার ও ব্যক্তি উদ্যোগে লালন পালন করা হচ্ছে এসব পশু।

জেলার খামারীরা জানান, যোগাযোগ করা হলেও চলমান লকডাউনের কারণে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের ব্যবসায়ীরা এখনও আসতে পারেনি।

তবে খামারীদের আর্থিক লোকসান ঠেকাতে বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া খামারী ও ব্যবসায়ীরা উদ্বৃত্ত পশু জেলার বাইরে যাতে নিতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।

এর পাশাপাশি অনলাইনভিত্তিক পশুরহাট চালু রাখা হয়েছে। খামারীরা যাতে কোরবানির পশু এখানে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন সেজন্য আরও যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে। 

গত বছরের তুলনায় চলতি বছর অনলাইন পশুরহাটে বেচা-কেনা বাড়বে বলে আশা করছেন জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

কাজীপাড়া গ্রামের অ্যাগ্রো অ্যান্ড ফিশারিজের মালিক আব্দুল মোতালেব রায়হান আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, 'এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রয় উপযোগী ২০টি গরু রয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। ঢাকাসহ বাইরের ব্যবসায়ীরা এখনও যোগাযোগ না করায় গরু বিক্রি নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় আছি।' 

একই কারণে গত কোরবনিতেও বেচা-বিক্রিতে সুবিধা করতে পারেননি বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, 'জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে অনলাইন পশুরহাট চালু রয়েছে। উপজেলাভিত্তিক ১০টি অনলাইন পশুরহাট রয়েছে। এছাড়া পশু বিক্রি করতে খামারীদেরকে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীদের সাথে খামারীরা যোগাযোগ করছে। তবে করোনার কারণে এখনও ব্যবসায়ীরা আসতে পারেনি। আশা করা যাচ্ছে, লকডাউন শেষ হলে ব্যবসায়ীরা এসে গরু নিয়ে যাবে। এছাড়া খামারী ও ব্যবসায়ীদের বলা হচ্ছে জেলার উদ্বৃত্ত পশু জেলার বাইরে নিতে কোন সমস্যা হবে না।'

নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, 'অনলাইন পশুরহাট সম্প্রসারণে আরও যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে। এর বাইরে জেলার বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থবিধি মেনে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে জেলায় প্রস্তুতকৃত পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে কথা বলেছি। এ ব্যাপারে নিশ্চয় সরকারি বিশেষ নির্দেশনা আসবে।'

কেডিআর/এসএ/এডিবি/