ন্যাভিগেশন মেনু

নিলাম পণ্যের সঙ্গে গোপনে দেওয়া হলো অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের ট্রান্সফরমারও


বেনাপোল স্থলবন্দরের পুরাতন বিল্ডিংসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হল।

নিলামকারীর বিরুদ্ধে মালামাল ট্রাক যোগে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের নিলাম বহির্ভূত একটি ট্রান্সফরমার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিলামকারীর কাছে ট্রান্সফরমারটি গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে বন্দরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। এ ঘটনায় বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের ব্যারাক ভবনগুলি, ৩৪ নং শেড হতে প্রাপ্ত পুরাতন সীআইসীট, ৬ নং মেইন গেটের পাশে অব্যবহৃত এমএস গেট, ১৪ নং শেড হতে প্রাপ্ত করোগেইটেড সীটের গেটগুলো, আবাসিক এলাকার ডরমেটরির পুরাতন গ্রীল, এমএস রড, পারটেক্সের দরজা, টেবিল, টিটিবি ইয়ার্ডের এঙ্গেল পোষ্ট, ৩টি পরিত্যক্ত ওয়েনিং স্কেলের মালামালসহ বন্দরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অকেজো মালামাল নিলামে বিক্রির জন্য গত ১ ফেব্রুয়ারি একটি কমিটি গঠন করা হয়।

চলতি বছরের ২৪ জুলাই ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৮ টাকা ৬ পয়সা নিলাম মূল্যে বিক্রি করা হয়। নিলাম ক্রেতা মাদারীপুরের নুরে আলম এসব মালামাল নিলাম পাওয়ার পর গত দুই মাস ধরে বন্দর অভ্যন্তর থেকে নেওয়া শুরু করেন।

বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার ও সাব-ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রিক্যাল) খোরশেদ আলম নিলাম ক্রেতার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বন্দরের আবাসিকে থাকা প্রায় ৫২ লাখ টাকা মূল্যের একটি ট্রান্সফরমারও গোপনে বিক্রি করে দেয়।

নিলাম ক্রেতা বন্দর আবাসিক থেকে রাতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে ট্রান্সফরমারটি কাটার সময় এলাকাবাসিরা তা দেখে বাধা দেয়। বাধার মুখে কাজ বন্ধ রাখে তারা।

পরে রাতের আধারে আবারও ট্রান্সফরমারের ভিতর থেকে তামা, অ্যালুমিনিয়াম ও ফাঙ্গাস অয়েল বের করে। এসব মালামাল শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছী গ্রামের আজগারের ছেলে জুয়েল নিলাম ক্রেতার কাছ থেকে ক্রয় করে। জুয়েল এসব মালামাল গভীর রাতে জনমানব শুন্য হলে পিকআপে করে নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রান্সফরমার নিলাম বহির্ভূত মাল। নিলাম ক্রেতার লোকসান হচ্ছে এ জন্য উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার মৌখিক নির্দেশ দেয় ট্রান্সফরমারটি দিয়ে দেওয়ার জন্য। সাব-ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রিক্যাল) খোরশেদ আলম উপস্থিত থেকে নিলাম ক্রেতার কাছে দিয়ে দেয়। সরকারী সম্পদ এভাবে রাতের আধারে কি ভাবে একজনকে দিয়ে দেয় এটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ২০০২ সালের আগে থেকে আবাসিকের ভিতর একটি অকেজো ট্রান্সফরমার পড়ে ছিল।

এটা সরকারী সম্পদ না, অকেজো জিনিস পড়েছিল। নিলামের তালিকায় সব জিনিসের নাম নেই। এর দাম আপনারা যত বলছেন তত না। এটা বিক্রি হয়েছে কি না আমি কাগজপত্র না দেখে কিছুই বলতে পারব না।

ওয়াই এ / এস এস

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ  https://www.ajkerbangladeshpost.com