ন্যাভিগেশন মেনু

পরিহলপাড়ায় প্রতিদিন চুরি করে তেল বিক্রি করতে আসে অন্তত ২০০ গাড়ি


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পরিহলপাড়া এলাকায় প্রতিদিন শত শত যানবাহন থেকে চালকরা একটি চোরাই চক্রের কাছে বিপুল পরিমান জ্বালানি তেল বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মহাসড়কের ঢাকাগামী অংশের পাশাপাশি পৃথক দুটি স্থানে দু’টি ভাড়া করা দোকানে সিন্ডিকেট প্রধান রনির নেতৃত্বে চলছে এই চোরাই তেলের ব্যবসা।

চোরাই এসব জ্বালানি পরবর্তীতে জেলার বিভিন্নস্থানে খোলাবাজারে বিক্রি করায় দুর্ঘটনাসহ নাশকতার কাজে ব্যবহারের আশঙ্কা করছে দায়িত্বশীল সূত্র।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের পরিহলপাড়া গ্রাম। দেশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চারলেনের ঢাকাগামী অংশে সড়কের ডানপাশে কাছাকাছি দুরত্বের দু’টি টিনের ঘর। যেখানে বসে নিরবে প্রতিদিন শত শত যানবাহন থেকে চোরাই তেল কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছে একটি চক্র। আর এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন রনি নামের এক ব্যক্তি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্র জানায়, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালিবাজার ইউনিয়নের ছঁনগাও গ্রামের আলম মিয়ার পুত্র এই রনি। প্রায় ৭/৮ বছর আগে বুড়িচংয়ের পরিহলপাড়ায় মহাসড়কের ঢাকাগামী অংশে সড়কের ডানপাশে প্রথমে একটি পরবর্তীতে ব্যবসার পরিধি বেড়ে যাওয়ায় কাছাকাছি দুরত্বে আরও একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়ে চোরাই তেলের ব্যবসা চলতে থাকে।

স্থানীয়রা জানান, ব্যক্তি মালিকানাধীন ,সরকারি,আধা-সরকারি ,বিভিন্ন কোম্পানি বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের শত শত গাড়ির চালকরা উপরি আয়ের লক্ষ্যে প্রতিদিন এখানে এসে গাড়ি থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি করছে।

সূত্র জানায়, পেট্রোল পাম্প থেকে এক লিটার ডিজেল ৬৫.১২ টাকায় গাড়ির মালিক কিনলেও চালকরা সেই ডিজেল এখানে এসে লিটার প্রতি ৩০/৩৫ টাকায় বিক্রি করছে। দোকান দুটি ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাতভর কমপক্ষে দুই শতাধিক গাড়ি আগে তেল বিক্রি করতে। প্রতিটি গাড়ি সর্বনিম্ন ১০ লিটার থেকে সর্বোচ্চ ১৫/২০ লিটার তেল বিক্রি করে। এভাবে প্রতিদিন দেড় থেকে দুইহাজার লিটার ডিজেল কিনছে চক্রটি।

পরবর্তীতে পিকআপে এই চোরাই তেল কুমিল্লা, চান্দিনা, দেবিদ্বার, বরুড়া, বুড়িচংসহ বিভিন্ন স্থানে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে।

সরেজমিনে পরিহলপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সরকারি বেসরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন যানবাহনছাড়াও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের গাড়ি নিয়ে চালকরা ভিড় করছে তেল বিক্রির জন্য।

জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কোনভাবেই জ্বালানি তেল খোলা বাজারে ক্রয়-বিক্রির সুযোগ নেই। জ্বালানি তেল বিক্রির জন্য বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নিতে হয়।

সূত্রটি আরও বলেন, চোরাই জ্বালানি পরবর্তীতে খোলা বাজারে বিক্রয় করায় সেগুলো নাশকতাসহ অন্যান্য কাজেও ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

চুরি করা জ্বালানি তেল ক্রয় এবং খোলা বাজারে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেট প্রধান রনি বলেন, আপনাদের কিছু জিজ্ঞাসার থাকলে আমার দোকানে  এসে বলেন।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে জেনেছি আমি দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।

কেডিএইচ/এসএ/এডিবি