ন্যাভিগেশন মেনু

প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাহিল ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ


ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সাধারণ মানুষ। ঠান্ডার কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব।

তৃতীয় দফায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে আবারও শীত জেঁকে পড়েছে ঠাকুরগাঁও জেলায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝড়তে শুরু করে, যা চলে দুপুর পর্যন্ত। ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢাকা থাকায় যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

প্রচণ্ড ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ। কাজে যেতে না পেরে অনাহারে দিনাতিপাত করছে দরিদ্র লোকজন।প্রবীন ও বয়স্ক লোকজন ঠান্ডায় ওজু গোসল করতে না পেরে ঠিকমতো নামাজ ও পূজা-অর্চনা করতে পারছেন না।

ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। ছিন্নমূল, দিনমজুর, রিকশা ও অটোচালকরা কাজ কর্ম হারিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে। ছোট বাচ্চা ও শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবারের নারীরা।

ঠান্ডার জন্য শিশুরোগ বাড়ছে। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বেড়েছে সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা।

শীতার্তরা জানান, তীব্র শীতের কারণে অটোরিকশা চালানো যাচ্ছে না। তাই আয়ও কমে গেছে। আর গাড়ি বের না করলে সংসার চলবে না। তাই কষ্ট হলেও জীবিকার জন্য গাড়ি নিয়ে বের হতে হয় তাদের।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, শীতার্তদের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ২৬ হাজার কম্বল ও ৩০ লাখ নগদ টাকা পাওয়া গেছে। এগুলো ৫টি উপজেলায় সমহারে বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও  শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিআইবি/এসএ/এডিবি