ন্যাভিগেশন মেনু

প্রেমিকের আসল পরিচয় জেনে যাওয়ায় অত্যাচার,অতপর আত্মহত্যা


মানুষ প্রেম করতে কতোকিছুই না করে। আশ্রয় নেয় ছল-চাতুরীরও। পরিচয় গোপন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল যুবক। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের ভোপালের টিটি নগরের যুবতী কোনওক্রমে প্রেমিকের আসল পরিচয় জেনে গিয়েছিল।

আর সেই জানার মাসুলই তাঁকে দিতে হল প্রাণ দিয়ে। ভোপালে বছর ছাব্বিশের যুবতীর আত্মহত্যার ঘটনায় ‘লাভ জেহাদ’কে দায়ী করছেন পরিবারের সদস্যরা। সুইসাইডে নোটে উল্লেখ করা প্রেমিকের নাম। সদ্য পাশ হওয়া ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইনে আদিল খান নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত।

আসল নাম আদিল খান। হিন্দু যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর আগে অবশ্য সেই নামটি যুবক গোপন করেছিল বলে অভিযোগ। টিটি নগরের যুবতীকে নিজের পরিচয় দিয়েছিল বাবলু নামে।

উভয়ের সম্পর্কের মাঝেই কোনওভাবে যুবতী জানতে পারেন, প্রেমিক বাবলু আসলে আদিল খান। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে সমস্যাও শুরু হয়। যুবতীর বাবার অভিযোগ, ”ছেলেটির প্রকৃত পরিচয় জানার পর থেকে মেয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে দূরে সরে আসতে চাইছিল।

কিন্তু ছেলেটি ক্রমাগতই তাঁকে নানাভাবে হেনস্তা করত। মানসিক, শারীরিক অত্যাচার চলত। এমনকী নানা হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল। হেনস্তার চাপ আর সহ্য করতে না পেরে শেষমেশ যুবতী আত্মহননের পথ বেছে নেয় বলে দাবি পরিবারের। উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে তিনি আদিল খানকেই মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গিয়েছেন।

সদ্যই মধ্যপ্রদেশে পাশ হয়েছে ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইন। তাতে ভিনধর্মে বিয়ের নামে ধর্মান্তকরণে চাপ দেওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে।

এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে নয়া আইনে। আদিল খানের বিচার হোক নয়া আইনেই, এমনই চান মৃতার পরিবারের সদস্যরা।

কারণ, তাঁদের দাবি, ‘লাভ জেহাদে’র চাপেই তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর আদিল খান পলাতক। তার সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।

এস এস