ন্যাভিগেশন মেনু

ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেয়া শুরু


প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার (২১ জুন) রাজধানীর তিন হাসপাতালে এই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে সকাল ৯টায় ৪৯ মিনিটে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

একই সময় শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট পরিচালক ফারুক আহমেদ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ নিজ নিজ কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

৯টা ৪৯ মিনিট থেকে শুরু হওয়ার এই কার্যক্রম চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত। তিন হাসপাতলের প্রতি কেন্দ্রে ১২০ জন করে মোট ৩৬০ জনকে টিকা দেয়া হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফাইজারের টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হলো। যারা এই সেন্টারে নিবন্ধন করে এখনও টিকা পাননি, তাদের মধ্য থেকে ১২০ জনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে এই টিকা দেয়া হচ্ছে।

‘টিকা দেয়ার পর প্রথমে দুজনকে তাদের ১৫ থেকে ৩০ মিনিট বিশ্রামের জন্য আলাদা বুথ রাখা হয়েছে।’

শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের হাসপাতাল থেকে ১১৫ জনকে টিকা নিতে এসএমএস পাঠানো হয়েছে।

‘সাড়ে ৯টার সময় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১১৫ জনের মধ্যে যারা আসবে তাদের সবাইকেই এই টিকা দেয়া হবে।’

টিকাদান কার্যক্রমের শুরু করার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একাধিক কর্মকর্তা এখানে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি।

এর আগে রবিবার (২০ জুন) করোনা বিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমএনসিএইচ) ডা. মো. শামসুল জানান, ইতোমধ্যে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার বায়ো-এনটেকের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আমাদের হাতে এসেছে। সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই টিকা কার্যক্রম চলবে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখার জন্য ৭ থেকে ১০ দিন প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

গত ২৭ মে জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজারের টিকা অনুমোদন পায়। এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক-ভি এবং চিনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার অনুমোদন দেয় সরকার।

ওআ/