বাঁশখালীতে সরকারী বন বিভাগের ২০ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের সহস্রাধিক গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে পুকুরিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আসহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে বনদস্যুরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুকুরিয়া ইউনিয়নের একাইত্যা পুকুরের পুর্বে পাহাড়ি এলাকা থেকে এসব গাছ কেটে সাবাড় করে দেন খোদ চেয়ারম্যান। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকার কাটা গাছ জব্দ করেছে পুলিশ। এব্যাপারে বন বিভাগ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, বন বিভাগের পাহাড় ও চা বাগানের জায়গা থেকে পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আসহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সহস্রাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিকে চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে কয়েকশত শ্রমিক দিয়ে এসব গাছ কাটেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রামদাস মুন্সি হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তপন কুমার বাগচি ও কালিপুুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের নির্দেশক্রমে পুকুরিয়া বন বিট কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, সাধনপুর বন বিট কর্মকর্তা মোঃ এহসানসহ বন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০০ পিছ কাটা গাছ জব্দ করা হয়। তীব্র তাপদাহের মাঝে চেয়ারম্যানের এই গাছ কাটার ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এবিষয়ে পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দিন জানান, আমি সরকারি কোন গাছ কাটিনি। এগুলো আমার নিজের বাগানের এবং আমার রোপনকৃত গাছ। কিন্তু আমাকে হয়রানি ও আমার সম্মান হানি করতে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে একটি মহল চক্রান্ত করছে।
পুকুরিয়া বন বিট কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, সরকারি যত গাছ আছে তা বিক্রি করতে হলে বন বিভাগের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে ও বন বিভাগকর্তৃক মূল্য নির্ধারণ করিয়ে নিতে হবে। এসব নিয়ম না মানলে সেটি অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু পাহাড়ের গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগের কাছে কেউ অনুমতি বা অনাপত্তিপত্র নেয়নি। তার মানে এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩০০ টুকরো গাছ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত কাটা গাছ স্থানীয় ইউপি সদস্য মুনিরুল মান্নানের জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, বর্তমান বৃক্ষ নিধন চরম অন্যায় ও আইন বিরোধী। যেখানে সরকার তাপদাহ মোকাবেলায় কোটি কোটি টাকার গাছ লাগাচ্ছে সেখানে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গাছ কাটার ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।