ন্যাভিগেশন মেনু

বাঁশখালীতে গাড়ী চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা, মামলা করায় বাদীর উপর হামলা


বাঁশখালীতে গাড়ি চাপা দিয়ে ওসমান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা চেষ্টা ও পঙ্গু করে দেয়ার ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে মামলা করায় আসামী জামিনে এসে বাদী ও তার পরিবারের উপর হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২১ এপ্রিল রবিবার অভিযুক্ত আসামী পৌরসভার আশকরিয়া এলাকার সৈয়দ আহমদের পুত্র অভিযুক্ত হেফাজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বাদী নুর আয়শা বেগম ও তার সন্তানদের হামলা এবং মারধর করার পর উল্টো মামলাও করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলা ও মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে বাঁশখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে নুর আয়েশা বেগমের পরিবার।

জানা গেছে, বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের কাহারঘোনা এলাকার ওসমান গণি নামে এক দিনমজুরকে গত ১৯ মার্চ বাঁশখালী প্রধান সড়কের মহাজন ঘাটা এলাকায় আশকরিয়া এলাকার হেফাজ নামে এক ব্যক্তি গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এতে ওসমান গণির পা হাটু ভেঙে পঙ্গু হয়ে যায়। এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও আসামী পক্ষের অসহযোগীতায় আপোষ মিমাংসা সম্ভব হয়নি। ফলে গত ১ এপ্রিল ওসমান গণির বোন গ্রাম পুলিশ নুর আয়েশা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা করায় ক্ষীপ্ত হয়ে আসামী হেফাজ জামিনে এসেই বাদী নুর আয়েশা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নুর আয়েশা বেগম জানান, আমি সরল ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ হিসেবে দায়িত্বরত আছি। গত ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক ৬ টার দিকে দক্ষিণ জলদি মহানজন ঘাটা এলাকায় পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জলদি আস্করিয়া এলাকার সৈয়দ আহমদের পুত্র অভিযুক্ত মোঃ হেফাজ (২২) নামে এক অটোরিকশা চালক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে আমার বড় ভাই মোঃ ওসমানকে গাড়ী চাপা দিয়ে মারাত্মক ভাবে শারীরিক আহত করেছে। এতে আমরা স্থানীয় ভাবে বিচার মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে গত ১ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে অভিযুক্ত মোঃ হেফাজ(২২) কে আসামী করে বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি। এতে আসামী মোঃ হেফাজ ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিনিয়ত আমরা ভুক্তভোগী পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। উক্ত মামলায় আসামী হেফাজ জামিনে আসার পর আসামী হেফাজসহ ৪/৫ জন লোক আমাদের বসতভিটায় অনধিকারে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার মেয়ে ও আমার স্বামী আবু তাহেরকে বেধড়ক মারধর করার পর উল্টো হয়রানির উদ্দেশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।

সাংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে বাদী এবং পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। তাছাড়া আসামি হেফাজ হারিসা বেগম নামে আরো এক মহিলার সন্তান হত্যা মামলার আসামী বলে জানা গেছে। সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসীদের হামলা ও হয়রানি থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।