ন্যাভিগেশন মেনু

বাঁশখালীতে চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর বাড়ীতে পুলিশের অভিযান, অস্ত্র উদ্ধার


বাঁশখালীর বহুল আলোচিত বিএনপি নেতা ও গন্ডামারা ইউনিয়নের বহিস্কৃত সাবেক চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী (৫২) কে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নিয়ে গন্ডামারায় অভিযান চালিয়েছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আটককৃত লেয়াকত আলীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঁশখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বাঁশখালী থানা পুলিশ তাকে জিঙ্গাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তার গন্ডামারার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০ টি দেশি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭২ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, পুলিশের উপর হামলা, দস্যুতা, ভয়ভীতি, নির্বাচন বানচাল, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপরাধে ২১টিরও বেশি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। 
 
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে তাকে নিয়ে প্রেসব্রিফিং করে বাঁশখালী থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র ও লেয়াকত আলীর ভিডিও ও স্থির ছবি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) সোহানুর রহমান সোহাগ ও বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে র্য্যাব পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অসংখ্যবার তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়েও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

পুলিশ জানায়, আটক লেয়াকত আলীকে ব্যাপক জিঙ্গাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নিয়ে তার দেখানো মতে গন্ডামারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের খামারু পাড়ায় তার নিজ বসতঘরে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে ২টি বিদেশী পিস্তল, ৫টি দেশীয় তৈরি এলজি, ২টি কাটা একনলা বন্দুক, ১টি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের ৭২ (বাহাত্তর) রাউন্ড গুলি, ২৬টি কাতুর্জ, ৫টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি কিরিচ, ৬টি কাঠেরবাটযুক্ত ধারালো রাম দা এবং ৪০টি বিভিন্ন সাইজের গইট্টা (লাঠি) উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চাঁদাবাজি, পুলিশ আক্রান্ত, বিস্ফোরক, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭২ সালের অনুচ্ছেদ- ৭৩(২খ) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ধারাসহ সর্বমোট ২১টি মামলা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন রয়েছে।
বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমদ জানান, লেয়াকত আলীকে ঘিরে গন্ডামারা ও কয়লা প্রকল্প এলাকায় একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তার গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এই সিন্ডিকেট আমরা ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছি। এই চক্র যাতে আর মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে তার জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তার গ্রেফতারে গন্ডামারার নারী পুরুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বলেও দাবী করেন ওসি তোফায়েল।