ন্যাভিগেশন মেনু

বাঁশখালীতে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুই লাখ টাকা জরিমানা


বাঁশখালীতে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত শনিবার রাতে উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাঁশখালী

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে পাহাড় কাটার দায়ে অভিযুক্ত কালীপুরের সাচি মিয়ার পুত্র মাহমুদুল ইসলামকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর আওতায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে পুনরায় এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে আরো কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে  তাকে সতর্ক করা হয়। উপজেলা প্রশাসন জানান, মাটি কাটা, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, বাঁশখালীর কালীপুর পাহাড়ি এলাকায় রাতে পাহাড় কাটা হচ্ছে এবং তা দীর্ঘ দিন ধরেই একটি সিন্ডিকেট পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে এমন খবর পেয়ে রামদাশমুন্সির হাট পুলিশী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তপন কুমার বাগচির নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পরে উপজেলা প্রশাসন সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পায়। অভিযানকালে সেখান থেকে মাটির কাটার সরান্জাম স্কেভেলেটর ও ড্যাম্পার আটক করা হয়। পরে মাটি ও পাহাড় কাটার নায়ক মাহমুদুল ইসলামকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য তাকে কঠোর সতর্ক করা হয়। আগামীতে আবারো এই কাজে পাওয়া গেলে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন।

এলাকাবাসী জানান, বাঁশখালীর গুনাগারি, কালীপুর, চেচুরিয়া, বৈলছড়ি, পাইরাং, জলদী, শীলকূপ ও চাম্বলসহ বিভিন্নস্থানে থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের নাম ভাঙিয়ে দেদারছে পাহাড় কাটা হচ্ছে। গুনাগারী কলেজ গেইটের উত্তর পাশের পাহাড়ে রাতদিন পাহাড় কেটে সাবাড় করে দেয়া হচ্ছে। প্রশাসন অভিযানে বের হওয়ার সাথে সাথেই পাহাড় খেকোদের কাছে খবর পৌছে যায়। উপজেলা সদর, ইউএনও অফিস, এ্যাসিল্যান্ড অফিস ও থানার অভ্যন্তরে মাটি কাটার আগেই তারা গোয়েন্দা নিযুক্ত করে। প্রশাসন উপজেলা সদর থেকে বের হলেই অভিযানের খবর ফাঁস হয়ে যায়। 

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার জানান, বাঁশখালীতে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের তালিকা থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে।