ঝলমলে রোদ দেখে ছাতা না নিয়েই অফিস বা কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে বের হলেন, কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি শুরু! উপায় নেই, ভিজে গেলেন। আবার অনেকে শখের বশেও বাদলদিনে বৃষ্টিতে ভিজে থাকেন। আর এই বৃষ্টির ফোঁটা গায়ে পড়তেই শুরু হয়ে যায় হাঁচি-কাশি নানা ধরণের সমস্যা।
তাই শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে বৃষ্টিতে ভেজার পর কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তাহলেই বৃষ্টিতে ভেজার পরও সুস্থ থাকতে পারবেন।
চলুন জেনে নিই বর্ষার মৌসুমে কিভাবে সুস্থ থাকা যায় -
> বর্ষা মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে ভিজবেন না। প্রথম বৃষ্টির বাতাসে নানা দূষণ ধুয়ে যায়। এ কারণে তখন বৃষ্টিতে ভিজলে জীবাণু শরীরে এসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই বছরের প্রথম বৃষ্টি এড়িয়ে যাবেন।
> যতো দ্রুত সম্ভব বৃষ্টিতে ভেজার পর পা ধুয়ে নিতে হবে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে থাকা রাস্তার সব নোংরা জীবাণু পায়ে লেগে থাকতে পারে। তাই বৃষ্টিতে ভেজার পর আপনার পা গরম পানিতে ভিজিয়ে লবণ দিয়ে স্ক্রাব করে নিন কিছুক্ষণ।
> বৃষ্টিতে ভেজার পর প্রথমে কাপড় বদলে নিন। ভেজা কাপড় দীর্ঘক্ষণ শরীরে থাকলে ফ্লু সংক্রমণ ঘটতে পারে। সেইসঙ্গে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আপনার মোজা এবং অন্তর্বাসও খুলে ফেলুন দ্রুত। এরপর পরিষ্কার পোশাক পরুন।
> বৃষ্টিতে ভেজার পর গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। তাহলে জীবাণু এবং সংক্রমণ থেকে রেহাই মিলবে। সেইসঙ্গে শরীরে ঠান্ডা অনুভূত হবে না।
> বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার পরে নিজেকে ফিট রাখতে কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করুন। এটি শরীর গরম করবে। এ ছাড়াও রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি হবে।
> শরীর গরম রাখতে বৃষ্টিতে ভেজার পর এক কাপ মাসালা চা অবশ্যই খাবেন। এ ছাড়াও গরম স্যুপ খেতে পারেন। তাহলে অনেকটাই আরাম বোধ করবেন।
> অ্যান্টিসেপটিক সাবান ব্যবহার করুন বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার পরে। যেকোনো সংক্রমণ ধ্বংস করতে অ্যান্টিসেপটিক সাবান কার্যকরী।
> বৃষ্টিতে ভেজার পর চুল ভেজা থাকলে মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই দ্রুত ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করে চুল শুকিয়ে নিন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সূর্যাস্তের পর গোসল করবেন না এবং চুল ভেজা রাখবেন না। তাহলে ঠান্ডা-কাশি হওয়ার সংক্রমণ বাড়তে পারে।
> ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন গোসলে পর। বৃষ্টিতে ভিজলে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে শুষ্ক ত্বকে চুলকানি হতে পারে। তাই বডি অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
> বর্ষার মৌসুমে নিয়মিত সকালে খালি পেটে তুলসি, মধু এবং গোলমরিচের চা পান করতে পারেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ফলে ফ্লু সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
সিবি/এডিবি/
