ন্যাভিগেশন মেনু

রাজধানীতে ক্যান্সার ও করোনার নকল ওষুধসহ গ্রেপ্তার ৭


রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্যান্সার ও করোনা মহামারিতে ব্যবহৃত দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাজলা,আরামবাগ ও মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - তরিকুল ইসলাম, সৈয়দ আল মামুন, সাইদুল ইসলাম, মনোয়ার, আবদুল লতিফ, নাজমুল ঢালী ও সাগর আহমেদ মিলন।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, একটি অসাধু চক্র নকল ওষুধ বাজারজাত করছে। এ চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। গত ১ সেপ্টেম্বর বুধবার ধারাবাহিক অভিযানে চালিয়ে এ প্রতারক চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তরিকুল ইসলাম ও সৈয়দ আল মামুন কারখানা স্থাপন করে জীবন রক্ষাকারী এ সকল নকল ওষুধ তৈরি করে। সাইদুল ইসলাম এ নকল ওষুধ তৈরির প্রধান কারিগর। মনোয়ার এ্যালো এ্যালো ফয়েল ও আবদুল লতিফ ওষুধের পাতায় ছাপ দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসহ সিলিন্ডার সরবরাহ করতো। গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল ঢালী ওষুধের বক্সে ছাপ দেওয়ার পর এ সকল নকল ওষুধ সাগর আহমেদ মিলনের নেতৃত্বে মিটফোর্ডের কয়েকটি গ্রুপের মাধ্যমে বাজারজাত করতো।

তিনি আরও বলেন, এই নকল ওষুধের উপাদানে মূলত প্রয়োজনীয় কোন সক্রিয় উপাদান থাকে না। এছাড়া মেইন স্টার্চ নিম্ন গ্রেডের ব্যবহৃত হয়। এমনকি স্টেরয়েড ও ডাই ব্যবহৃত হতে পারে। নন ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রেডের এসব কেমিক্যাল সেবনের ফলে মানুষের কিডনি, লিভার ও হৃদযন্ত্রের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। এ সকল নকল ওষুধ সাধারণ মানুষের জন্য মরণফাঁদ।

গ্রেপ্তারকৃতদেরকে বংশাল থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে পাঠানোর পর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।

এডিবি/