ন্যাভিগেশন মেনু

রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি, একদিনে আরও ১০ জনের মৃত্যু


রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া বেড়েছে মৃত্যুর হারও। রাজশাহী মেডিক‌্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (১৯ জুন) সকালে বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।

এর আগে গতকাল ১৮ জুন মারা গেছেন ১২ জন। আগের দিন ১৭ জুন করোনায় মারা গেছেন ১০ জন ও ১৬ জুন মারা গেছে ১৩ জন।

শনিবার (১৯ জুন) সকালে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ১০ জনের বেশি। এর মধ্যে সর্বাধিক ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ১৪ জুন। এ নিয়ে চলতি মাসের এই ১৯ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১৯ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৯৩ জন।

সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে করোনার প্রাদুর্ভাব যাতে বেড়ে না যায়, সেজন্য ১১ জুন (শুক্রবার) থেকে 'বিশেষে লকডাউন' চলছে। যা চলবে আগামী ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। এছাড়া রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগও বন্ধ রাখা হয়েছে।

উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, শুক্রবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে শনিবার (১৯ জুন) সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচজন রয়েছেন। মৃতদের বেশিরভাগেরই বাড়ি ভারত সীমান্তবর্তী উচ্চ সংক্রমিত এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলায়। বর্তমানে এ দুই জেলায় 'বিশেষ লকডাউন' চলছে। এর পরও এই দুই জেলা সংক্রমণের চূড়ায় পৌঁছেছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনজন মারা গেছেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা গেছেন দুজন। এ ছাড়া একজন করে মারা গেছেন ১, ১৬, ২২, ২৫, ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ড এবং কেবিনে। এই একদিনে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন তিনজন। এই তিনজনই রাজশাহী জেলার বাসিন্দা।

করোনা ইউনিটে মৃত ১০ জনের মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুজন নারী। এদের অধিকাংশের বয়স ৩৫-৬৫ বছরের মধ্যে বলে জানান তিনি।

এস এ/এডিবি/